বার্সেলোনার আর্থিক অনটনের ব্যাপারটা না থাকলে আজ হয়তো ক্যাম্প ন্যু-তেই পিকে-বুসকেতসদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে 'এল ক্লাসিকো' খেলতে নামতেন লিওনেল মেসি। কালের পরিক্রমায় আজ ক্লাসিকো খেলতে নেমেছেন ঠিকই, তবে স্পেনের সেই বিখ্যাত 'এল ক্লাসিকো' নয়, বরং ফ্রান্সের 'লা ক্লাসিক'।
স্পেনে যেমন রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার দ্বৈরথের আবেদন সবচেয়ে বেশি, ফ্রান্সে একই কথা বলা যায় পিএসজি-মার্শেই ম্যাচের ক্ষেত্রেও। আজ সে ম্যাচটাই আয়োজিত হয়েছিল মার্শেইয়ের মাঠ স্তাদে ভেলোদ্রোমে। সেখানে জয় নিয়ে ফেরা হয়নি মেসি-নেইমারদের। বরং গোলশূন্য ড্র-তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁদের।
ম্যাচে গোল হয়নি একটাও, স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে 'নায়ক' খুঁজে নেওয়ার ব্যাপারটা একটু কঠিনই বটে। গোলহীন ম্যাচে তাই নায়কের জায়গা নিয়ে নিয়েছে অপ্রত্যাশিত দুটি বিষয় - ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) ও মাঠের দর্শকেরা। ভিএআরের কারণে বাতিল হয়েছে দুটি গোল, ওদিকে দর্শকদের কারণে ম্যাচে বিঘ্ন ঘটেছে বেশ, সব মিলিয়ে গোল না হলেও ম্যাচটা বেশ ঘটনাবহুলই ছিল।
সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী দলটা নিয়েই আজ মাঠে নেমেছিলেন মেসিরা। ৪-২-৩-১ ছকে সামনে এমবাপ্পেকে রেখে পেছনে খেলেছেন নেইমার, মেসি ও আনহেল দি মারিয়া। মাঝমাঠে ছিলেন মার্কো ভেরাত্তি ও দানিলো পেরেইরা। রক্ষণে মার্কিনিওস ও কিম্মপেম্বের সঙ্গে ছিলেন হাকিমি আর নুনো মেন্দেস।
নিজেদের মাঠে প্রথম থেকেই সাহসী খেলা উপহার দেয় মার্শেই। পোলিশ স্ট্রাইকার আরকাদিউশ মিলিকের কল্যাণে গোলের সুযোগও পেয়ে যায় তাঁরা। ১৪ আর ২১ মিনিটে মার্শেইয়ের হয়ে মিলিক আর পিএসজির হয়ে মার্শেই ডিফেন্ডার লুয়ান পেরেসের আত্মঘাতী দুটি গোল ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। পিএসজির রক্ষণের বাঁ দিকে লেফটব্যাক নুনো মেন্দেসকে বেশ ভালোই যন্ত্রণা দিচ্ছিলেন মার্শেইয়ের তারকারা।
২৬ মিনিটে মার্শেইয়ের বিশৃঙ্খল দর্শকদের কারণে খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। নেইমার যখন কর্নার নিচ্ছিলেন, দর্শকসারি থেকে কেউ তাঁর দিকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারেন। দ্বিতীয়ার্ধে চোটে পড়া
বার্সেলোনার আর্থিক অনটনের ব্যাপারটা না থাকলে আজ হয়তো ক্যাম্প ন্যু-তেই পিকে-বুসকেতসদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে 'এল ক্লাসিকো' খলতে নামতেন লিওনেল মেসি। কালের পরিক্রমায় আজ ক্লাসিকো খেলতে নেমেছেন ঠিকই, তবে স্পেনের সেই বিখ্যাত 'এল ক্লাসিকো' নয়, বরং ফ্রান্সের 'লা ক্লাসিক'।
স্পেনে যেমন রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার দ্বৈরথের আবেদন সবচেয়ে বেশি, ফ্রান্সে একই কথা বলা যায় পিএসজি-মার্শেই ম্যাচের ক্ষেত্রেও। আজ সে ম্যাচটাই আয়োজিত হয়েছিল মার্শেইয়ের মাঠ স্তাদে ভেলোদ্রোমে। সেখানে জয় নিয়ে ফেরা হয়নি মেসি-নেইমারদের। বরং গোলশূন্য ড্র-তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁদের।
Post by tamjid.
ম্যাচে গোল হয়নি একটাও, স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে 'নায়ক' খুঁজে নেওয়ার ব্যাপারটা একটু কঠিনই বটে। গোলহীন ম্যাচে তাই নায়কের জায়গা নিয়ে নিয়েছে অপ্রত্যাশিত দুটি বিষয় - ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) ও মাঠের দর্শকেরা। ভিএআরের কারণে বাতিল হয়েছে দুটি গোল, ওদিকে দর্শকদের কারণে ম্যাচে বিঘ্ন ঘটেছে বেশ, সব মিলিয়ে গোল না হলেও ম্যাচটা বেশ ঘটনাবহুলই ছিল।
সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী দলটা নিয়েই আজ মাঠে নেমেছিলেন মেসিরা। ৪-২-৩-১ ছকে সামনে এমবাপ্পেকে রেখে পেছনে খেলেছেন নেইমার, মেসি ও আনহেল দি মারিয়া। মাঝমাঠে ছিলেন মার্কো ভেরাত্তি ও দানিলো পেরেইরা। রক্ষণে মার্কিনিওস ও কিম্মপেম্বের সঙ্গে ছিলেন হাকিমি আর নুনো মেন্দেস।
নিজেদের মাঠে প্রথম থেকেই সাহসী খেলা উপহার দেয় মার্শেই। পোলিশ স্ট্রাইকার আরকাদিউশ মিলিকের কল্যাণে গোলের সুযোগও পেয়ে যায় তাঁরা। ১৪ আর ২১ মিনিটে মার্শেইয়ের হয়ে মিলিক আর পিএসজির হয়ে মার্শেই ডিফেন্ডার লুয়ান পেরেসের আত্মঘাতী দুটি গোল ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। পিএসজির রক্ষণের বাঁ দিকে লেফটব্যাক নুনো মেন্দেসকে বেশ ভালোই যন্ত্রণা দিচ্ছিলেন মার্শেইয়ের তারকারা।
২৬ মিনিটে মার্শেইয়ের বিশৃঙ্খল দর্শকদের কারণে খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। নেইমার যখন কর্নার নিচ্ছিলেন, দর্শকসারি থেকে কেউ তাঁর দিকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারেন। দ্বিতীয়ার্ধে চোটে পড়া ভেরাত্তির জায়গায় মাঠে নামান হয় রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গে-কে।
৫৭ মিনিটে তুরস্কের উইঙ্গার জেঙ্গিজ উনদেরকে আটকাতে গিয়ে উলটো লাল কার্ড দেখে বসেন পিএসজির রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমি। মেসি, নেইমার, দি মারিয়া, এমবাপ্পে চতুষ্টয়কে একসঙ্গে মাঠে রেখে যখন কাজ হচ্ছিল না, তখনই দি মারিয়াকে তুলে ডিফেন্ডার থিলো কেহরেরকে নামান পচেত্তিনো। কিছুক্ষণ পর উঠে যান নেইমারও, মাঠে নামেন ডাচ মিডফিল্ডার জর্জিনিও ভাইনালডম।
পিএসজি যে গোলের সুযোগ পায়নি, তা নয়। তবে অবিশ্বাস্যভাবে সে সুযোগগুলো মার্শেইয়ের ডিফেন্ডারদের পাশাপাশি আটকেছেন খোদ দলটার দর্শকেরা! এক দর্শক তো মাঠে নেমে মেসির পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ারই চেষ্টা করলেন! ফলে পিএসজির দুর্দান্ত এক প্রতি আক্রমণ নষ্ট হয়ে যায়।
শেষমেশ গোলহীন থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের। এই ড্র নিয়ে ১১ ম্যাচ শেষে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষেই আছে পিএসজি। ২১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লেঁস।
ওদিকে ইতালিয়ান লিগে পিএসজির মতো ড্র করেছে জুভেন্টাসও। শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টারের বিপক্ষে ড্র-টা তাঁদের কাছে মহার্ঘ বলেই মনে হবে। কেননা, নিজেদের মাঠে প্রথমে ইন্টারই এগিয়ে গিয়েছিল। ১৭ মিনিটে ইন্টারকে এগিয়ে দেন বসনিয়ান স্ট্রাইকার এদিন জেকো। ম্যাচের একদম শেষমুহুর্তে পেনাল্টি বাঁচায় জুভেন্টাসকে। ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পাওলো দিবালা এক পয়েন্ট এনে দেন জুভেন্টাসকে। স্প্যানিশ লিগে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে আতলেতিকো-ও। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোলে ২-২ ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তাঁরা।।
খেলার সকল আপডেট নিয়ে আছি৷ আমরা আপনাদের সাথে....
সৌজন্যে ঃ- বিশ্ব জ্ঞান কোষ......
প্রসার হোক বাংলা ভাষার....