আইফোন
আইফোন (ইংরেজি: iPhone) হচ্ছে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড দ্বারা নির্মিত একটি আধুনিক ইন্টারনেট ও মাল্টিমিডিয়া সংযুক্ত স্মার্টফোন। অ্যাপলের সাবেক সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস প্রথম আইফোন অবমুক্ত করেন ৯ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে। প্রথম আইফোনের বাজারজাতকরণ শুরু হয় ২৯ জুন ০৭ তারিখে।
আইফোন কি?
আইফোন (ইংরেজি: iPhone) হচ্ছে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড দ্বারা নির্মিত একটি আধুনিক ইন্টারনেট ও মাল্টিমিডিয়া সংযুক্ত স্মার্টফোন। অ্যাপলের সাবেক সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস প্রথম আইফোন অবমুক্ত করেন ৯ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে। প্রথম আইফোনের বাজারজাতকরণ শুরু হয় ২৯ জুন ০৭ তারিখে। বর্তমানে (প্রেক্ষিত: ২০২১) আইফোনের ১২ তম জেনারেশন আইফোন ১২ ম্যাক্সটা ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে, যা ১৩ নভেম্বর ২০২০-এ অবমুক্ত করা হয়।
আইফোনকে ভিডিও ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি ক্যামেরা ফোন, বহনযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ার, ইন্টারনেট মাধ্যম, ভিজুয়্যাল ভয়েস মেইল ক্লাইন্টসহ ওয়াইফাই ও থ্রিজি কানেকটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আইফোনের পর্দাটি মাল্টি টাচস্ক্রিন প্রকৃতির। যেখানে একটি ভার্চুয়াল কিবোর্ডের সুবিধা রয়েছে। অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যারগুলো আইফোনের জন্য অ্যাপলের বিশেষ অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের সুবিধা আছে। এইসকল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে আইফোনকে খেলাধুলা, জিপিএস নেভিগেশন, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র দেখার কাজে সহজেই ব্যবহার করা যায়।
আইফোনের ইতিহাস
আইফোন নির্মাণের জন্য অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড ২০০৫ সাল থেকে কাজ শুরু করে। এসময় সাবেক সিইও স্টিভ জবস অ্যাপলের ইঞ্জিনিয়ারদের টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। তিনি বিশেষজ্ঞদের ট্যাবলেট পিসি আর মোবাইল ফোনের মধ্যে পার্থক্যের দিকে নজর দিতে বিশেষ গুরুত্ব দেন। ৩০ মাসের চুক্তিতে অ্যাপল টেলিকম কোম্পানি এটিএ্যান্ডটি-এর সাথে যৌথভাবে আইফোন নির্মাণ শুরু করে। স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি সানফ্রান্সিসকোতে প্রথম আইফোন অবমুক্ত করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আইফোন বিক্রি শুরু হয় ২৯ জুন ২০০৭। আইফোনের বিক্রির জনপ্রিয়তা দেখে সংবাদ মাধ্যম আইফোনকে জেসাস ফোন নামে ডাকা শুরু করে। নভেম্বর ২০০৭ থেকে ইউকে, ফ্রান্স এবং জার্মানিতে আইফোন বিক্রি শুরু হয়।
আইফোনের দ্বিতীয় প্রজন্ম আইফোন ৩জি ১১ জুলাই ২০০৮ সালে অবমুক্ত হয়।অ্যাপল তৃতীয় প্রজন্মের আইফোন ৩জিএস বাজারে অবমুক্ত করার ঘোষণা দেয় ৮ জুন ২০০৯ তারিখে।
আইফোনের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছেন অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। তাঁর হাত ধরেই এসেছে মোবাইল ফোনের যুগ পরিবর্তনকারী ‘আইফোন’। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট স্লেট ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন তৈরির আগে গান শোনার যন্ত্র হিসেবে আইপড বাজারে এনেছিল অ্যাপল। অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জবস মিউজিক প্লেয়ারের যুগের সমাপ্তি দেখতে চেয়েছিলেন। তাই বাজারে মিউজিক প্লেয়ারের বিকল্প হিসেবে আইপডের স্থান দখল করে নিতে পারে এমন পণ্য তৈরির ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।
অ্যাপলের কর্মকর্তারা ২০০৪ সালে ধারণা করেছিলেন, অ্যাপল যদি মিউজিক প্লেয়ারের বিকল্প তৈরি না করে, তবে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান মুঠোফোনের মতো ফোন কল, ভিডিও দেখার প্রযুক্তি ও গান শোনার যন্ত্র একত্র করে নতুন পণ্য বাজারে আনতে পারে। তাদের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, আইপডের বাজার দখল করতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নতুন পণ্য বাজারে ছাড়তে পারে। এরপর থেকেই আইফোন তৈরির জন্য প্রস্তুতি শুরু করে অ্যাপল।
২০০৫ সালেই স্টিভ জবস অ্যাপলের প্রকৌশলীদের টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তির পণ্য নকশা করার নির্দেশ দেন। স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি সানফ্রান্সিসকোতে প্রথম আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি আইপডের একটি ছবি দেখান, যাতে ক্লিক হুইলের পরিবর্তে রোটারি ডায়াল বাটন ছিল। তবে অ্যাপলের মুঠোফোনে রোটারি বাটন যুক্ত করেনি। কারণ, ওই সময় স্যামসাংয়ের এক্স৮১০ মডেলের মুঠোফোনটির মডেলে রোটেটিং হুইল ছিল।
তবে অ্যাপলের প্রথম আইপড নকশাকারী হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলী টনি ফ্যাডেল স্টিভ জবসের রোটেটিং হুইলযুক্ত নতুন পণ্যটির ধারণাকে বাতিল করে দেন এবং ক্লিক হুইলের পরিবর্তে মাল্টি টাচ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করার কথা জানান। টনি ফ্যাডেলের পরামর্শ গ্রহণ করে অ্যাপলের প্রকৌশলী দলকে দুই ভাগে ভাগ করে দেন স্টিভ জবস। একটি দল সফটওয়্যার ও আরেকটি দল হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ শুরু করে। সফটওয়্যার দলটির মূল কাজ ছিল সুন্দর ইন্টারফেস তৈরি করা আর হার্ডওয়্যার দলটির কাজ ছিল মানুষের পছন্দসই একটিমুঠোফোনের নকশা তৈরি করা।
অ্যাপলের মুঠোফোনের নকশাকারী দলটি স্টিভ জবসের সামনে পাতলা, মোটা, গোলাকার ডিসপ্লেসহ একাধিক নকশা উপস্থাপন করে। কিন্তু তিনি আরও সহজতর নকশার কথা বলেন। ২০০৬ সালে অ্যাপলের নকশাকারী দলটির প্রধান জোনাথন আইভ আইফোনের জন্য একাধিক নকশা চূড়ান্ত করেন। তবে স্টিভ জবস পছন্দ করেছিলেন জোনাথন আইভের নকশা করা ২০০৪ সালে বাজারে আসা আইপড মিনি সাদৃশ্যের ধাতব পদার্থের তৈরি প্রোটোটাইপটি। আর এ প্রোটোটাইপটির নকশাতে আরও পরিবর্তন করেন জোনাথন আইভ। এরপরই তৈরি শুরু হয় আইফোনের।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটির সঙ্গে চুক্তিতে আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা দেয় অ্যাপল। ২৯ জুন ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথম আইফোন বিক্রি শুরু হয়। ২০০৭ সালের নভেম্বর মাস থেকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির বাজারে আইফোন বিক্রি শুরু হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্মের আইফোন ৩জি ১১ জুলাই ২০০৮ সালে বাজারে আনার ঘোষণা দেয় অ্যাপল। তৃতীয় প্রজন্মের আইফোন ৩জিএস বাজারে আসার ঘোষণা এসেছিল ৮ জুন ২০০৯ তারিখে। ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর বাজারে আসে পঞ্চম প্রজন্মের আইফোন ৪এস। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর স্টিভ জবস মারা যাওয়ার পর নতুন প্রজন্মের আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা দেয় অ্যাপল। আইফোনের প্রতিটি নকশায় স্টিভ জবসের হাত ছিল বলে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করেন। কিন্তু স্টিভ জবসকে ছাড়াই ষষ্ঠ প্রজন্মের আইফোন ৫ বাজারে ছাড়ে অ্যাপল।
এরপর বাজারে এসেছে আইফোন ৫সি, ৫এস, আইফোন ৬, ৬ প্লাস, ৬এস, ৬এস প্লাস, ৭, ৭ প্লাস। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে আইফোন ৭-এর ঘোষণা দেন টিম কুক। এ বছর দশকপূর্তি উপলক্ষে নতুন নকশার আইফোন ৮ বাজারে ছাড়তে পারে অ্যাপল।
আইফোনের কয়েকটি তথ্য
অ্যাপ স্টোর ছিল না: ২০০৭ সালে প্রথম আইফোন যখন বাজারে এসেছিল, তখন এতে কোনো অ্যাপ স্টোর ছিল না। ফলে এতে অ্যাপ ডাউনলোডের কোনো সুবিধা ছিল না। আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের ডিজিটাল বিপণন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত অ্যাপ স্টোর। এখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়। ২০০৮ সালের ১০ জুলাই মাত্র ৫০০ অ্যাপ নিয়ে চালু হয় অ্যাপ স্টোর। ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এতে ২২ লাখের বেশি অ্যাপ্লিকেশন আছে।
আইফোন নামের জন্য মামলা: স্টিভ জবস আইফোন নামকরণ করার পরপরই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকো অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিসট্রিক্ট আদালতের মামলায় হেরে যায় সিসকো। অ্যাপল তাদের স্মার্টফোনের নাম আইফোন রাখার অনুমতি পায়।
প্রভাবশালী প্রযুক্তিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: ২০১৬ সালে টাইম ম্যাগাজিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তিপণ্যের তালিকায় শীর্ষে চলে আসে আইফোন। ওই সময় শীর্ষ ৫০টি গ্যাজেটসের তালিকা করে টাইম ম্যাগাজিন। ম্যাগাজিনটিতে বলা হয়, কম্পিউটিং ও তথ্যের মধ্যে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি পরিবর্তন করায় আইফোনকে সবচেয়ে প্রভাবশালী পণ্য বলা যায়।
রেটিনা স্ক্রিন: আইফোনের সপ্তম সংস্করণ আইফেোন ৭-এ সবচেয়ে দামি অংশ হচ্ছে এর স্ক্রিন। এতে রেটিনা স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। উপাদানের দাম হিসাব করলে স্ক্রিনের দাম দাঁড়ায় ৪৩ মার্কিন ডলার।
অ্যাপলের আয়ের মোট ৬০ শতাংশ আইফোন থেকে: অ্যাপলের মোট আয়ের ৬০ শতাংশ আসে আইফোন বিক্রি থেকে। ২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিক বা গত অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া প্রান্তিকে ৭ কোটি ৮২ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে। অ্যাপলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় ১৪ শতাংশ আসে সেবা খাতে বিভিন্ন সেবা বিক্রি করে। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ, স্লেট, সিএনএন, দ্য ভার্জ।
আইফোন বাইপাস কি?
আইক্লাউড লক করা মোবাইল আনলক করতে খরচ অনেক। তাই দামি মোবাইল বিশেষ করে আইফোন চুরি বা ছিনতাইয়ের পর করা হয় বাইপাস। চোরাই ফোন ওয়াইফাই ব্যবহার উপযোগী করে তোলার প্রক্রিয়াকে বলা হয় বাইপাস।
আইফোন ১১
আইফোন ১১-তে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ও আল্ট্রাওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স–সংবলিত ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরার সংযুক্তি রয়েছে। পেছনের এই দুটি ক্যামেরাই ১২ মেগাপিক্সেলের। অল্প আলোয় ছবি তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে আইফোন ১১-তে। কারণ, রাতের বেলা কিংবা কম আলোয় ছবি তোলার সময় এর নাইট মোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে।
আইফোন ১২
আইফোন ১২ (৬৪ জিবি)–এর দাম শুরু ৭৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। আইফোন ১২ প্রো (১২৮ জিবি) মডেলটির দাম শুরু ৯৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্সের দাম শুরু ১ হাজার ৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন আইফোন ঘোষণার মাধ্যমে ৫–জি স্মার্টফোনের রাজ্যে ঢুকেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
আইফোন ১২ প্রো
অ্যাপেল iPhone 12 Pro Max Smartphone একটি 6.7 -ইঞ্চি Super Retina XDR OLED এর সঙ্গে পাওয়া যায় 1242 x 2688 পিক্সেল রেজল্যুশনের সঙ্গে প্রতি ইঞ্চিতে 458 পিক্সেলের একটি পিক্সেল ঘনত্বে। ফোনটি একটি 2x3.1 GHz, 4x1.8 GHz Hexa-core কোর প্রসেসর দ্বারা চালিত হয় এবং এটি RAM এর 6 GB এর সঙ্গে পাওয়া যায়।
আইফোন ১৩
আইফোন ১৩ তে দ্রুতগতির নতুন একটি চিপ থাকছে, যাকে বলা হচ্ছে এ১৫ বায়োনিক। ... ১২৮ গিগাবাইট মেমোরিযুক্ত আইফোন ১৩ মিনি, আইফোন ১৩, আইফোন ১৩ প্রো ও আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্সের দাম যথাক্রমে ৬৯৯ ডলার, ৭৯৯ ডলার, ৯৯৯ ডলার ও ১ হাজার ৯৯ ডলার। প্রায় প্রতিটি মডেলই ১২৮, ২৫৬ ও ৫১২ গিগাবাইট মেমোরিসহ পাওয়া যাবে।
আইফোন ১৩ প্রো
অ্যাপেল আইফোন 13 প্রো ভারতে লঞ্চ হওয়া একটি জনপ্রিয় মোবাইল ফোন। অ্যাপেল আইফোন 13 প্রো-এর ভারতে দাম 119900।
আইফোন কোন দেশের কোম্পানি
অ্যাপল একটি মার্কিন দেশের company। স্টিভ জবস অ্যাপল সংস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এবং স্টিভ জবস আমেরিকার বাসিন্দা, পাশাপাশি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সংস্থাটি চালু করেছিলেন, তাই এটি ধরে নেওয়া যেতে পারে যে অ্যাপল মার্কিন দেশের একটি সংস্থা তবে এই সংস্থার প্রধান কোয়ার্টারে কাপ্পার্টিনো, ক্যালিফোর্নিয়ায় আছেন।
আইফোন কোন দেশে তৈরি
অ্যাপল একটি মার্কিন দেশের company। স্টিভ জবস অ্যাপল সংস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এবং স্টিভ জবস আমেরিকার বাসিন্দা, পাশাপাশি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সংস্থাটি চালু করেছিলেন, তাই এটি ধরে নেওয়া যেতে পারে যে অ্যাপল মার্কিন দেশের একটি সংস্থা তবে এই সংস্থার প্রধান কোয়ার্টারে কাপ্পার্টিনো, ক্যালিফোর্নিয়ায় আছেন।
আইফোনে যা আছে তা অন্য কোন ফোনে নেই
নতুন প্রজন্মের আইফোনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। আইফোন এক্সএস ও আইফোন এক্সএস ম্যাক্সকে সবেচয়ে সেরা স্মার্টফোন বলে দাবি করেছেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। নতুন আইফোনে যুক্ত হয়েছে অনেক নতুন ফিচার।
এই ফোনের নকশা গত বছরে বাজারে আনা আইফোন এক্সের মতো। তবে এতে বিভিন্ন ফিচারের কারণে দামে পার্থক্য এসেছে। নতুন আইফোনে সবচেয়ে বড় উন্নতি বলতে এর এ১২ বায়োনিক প্রসেসর। এটি আগের প্রসেসর এ১১-এর চেয়ে ১৫ শতাংশ দ্রুতগতির। এসব ফিচার আইফোনের সবচেয়ে বড় সংস্করণ সাড়ে ছয় ইঞ্চি মাপের এক্সএস ম্যাক্সে পাওয়া যাবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, অ্যাপলের ১২ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানে পোর্টেট মোডে ছবি তোলার পর এর ডেপথ অব ফিল্ড সমন্বয় করার সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। অ্যাপল দাবি করে, অন্য কোনো ক্যামেরায় এটা করা যায় না। তবে এটি ঠিক নয়। দীর্ঘদিন ধরেই হুয়াওয়ে ও নকিয়ার তৈরি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই সুবিধা আছে। রিফোকাস করার ওই প্রযুক্তি ২০১২ সালে লাইট্রো ক্যামেরায় প্রথম দেখা যায়।
আইফোন এক্সএস ও এক্সএস ম্যাক্সের ডিভাইসের ডিসপ্লে সাইজ যথাক্রমে ৫ দশমিক ৮ ও ৬ দশমিক ৫ ইঞ্চি। ৪৫৮ পিপিআই ও এলইডি এইচডিআর ডিসপ্লে রয়েছে এতে।
আইফোন এক্সএস ও এক্সএস ম্যাক্সে স্টেইনলেস স্টিল বডি থাকলেও আইফোন এক্সআরে থাকবে অ্যালুমিনিয়ামের বডি।
এক্সএস ও এক্সএস ম্যাক্সে থাকবে সিঙ্গেল রিয়েল ক্যামেরা সিস্টেম। এই ক্যামেরায় থাকবে একটি ১২ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর। ফোনের সামনে থাকবে একটি ট্রু ডেপথ ফ্রন্ট ক্যামেরা। এর সঙ্গে থাকবে একাধিক ফেস আনলক সেন্সর।
তিনটি নতুন আইফোনের ডিসপ্লের ওপরে থাকবে কালো নচ। এই নচের নিচে থাকবে ফ্রন্ট ক্যামেরা ও একাধিক সেন্সর। আইফোন এক্সের তুলনায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত চার্জ বেশি থাকবে। এটি আইপি-৬৮ রেটিংয়ের; অর্থাৎ এটি ধুলা ও পানিরোধী।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষ বলেছে, নতুন আইফোন চলবে আইওএস ১২ অপারেটিং সিস্টেমে। ২০১৭ সালের আইফোন এক্সের মতোই ৫ দশমিক ৮ ইঞ্চি মাপের এক্সএস মডেলে ওএলইডি সুপার রেটিনা ডিসপ্লে থাকছে। ম্যাক্সের ক্ষেত্রেও সাড়ে ৬ ইঞ্চি মাপের ওএলইডি ডিসপ্লে থাকছে।
অ্যাপলের দাবি, তাই সব সময় সঠিক না-ও হতে পারে। তবে কারিগরি বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সঙ্গে তুলনা করলে নতুন আইফোনের সঙ্গে এর পার্থক্য ধরা পড়ে। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ৯, এস ৯ প্লাস, নোট ৯, গুগল পিক্সেল ২ ও পিক্সেল ২ এক্সেলের সঙ্গে অ্যাপলের আইফোনের পার্থক্য দেখে নিন।