অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়


আমরা সবাই কোনো না কোনো ভাবেই অনলাইন ইনকাম করতে চেয়েছি।কেউ কিছু পেরেছি আবার কেউ অনলাইন থেকে আয় করতে পারি নাই।তবে আজ আপনাদের সাথে চেষ্টা করবো অনলাইন ইনকাম নিয়ে ভালো কিছু ধারনা দেওয়ার।অনলাইন ইনকাম করার পদ্ধতি অনেক আছে তবে আজ আপনাদের সাথে অনলাইনে আয়ের সেরা উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি।

অনলাইনে আয় করার উপায়

ইন্টারনেট মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে গেলে কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং

আসলেই অনলাইন থেকে ইনকাম সম্ভব। তবে এ জন্য থাকতে হবে মনোবল,সততা,শ্রম। আর থাকতে হবে নেট কানেকশন,মোবাইল /ডেস্কটপ। তবে এটাও সত্যি যে সব কাজই মোবাইল দিয়ে সম্ভব না কিছু কাজে ডেস্কটপ ব্যাবহার করতে হয়। তবে মোবাইল দিয়েও অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে ধারণা নেয়ার আগে আমাদের জানা উচিৎ আমরা কেন অনলাইনে ইনকাম করবো!


অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।

কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কাজের মানের ওপর কাজদাতা রেটিং দিতে পারেন। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।

নিজের ওয়েবসাইট তৈরি
এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য অনলাইনেই অনেক উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি। যখন পাঠক বা দর্শককে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি সারা, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এই পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ প্রয়োজন। যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।

গ্রাফিকস ডিজাইন

অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাঁদের আয় আসে। তাঁদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাঁদের আয় আসে। তাঁদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

অনলাইন জরিপে অংশ নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট জরিপে অংশ নিলে অর্থ দেয়। এ ছাড়া অনলাইন সার্চ ও পণ্যের পর্যালোচনা লিখে আয় করতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য দেওয়া লাগতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে কাজ করার সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজের সময় কোনটি প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম—যাচাই-বাছাই করে নিয়ে কাজ করতে পারেন।

ভার্চ্যুয়াল সহকারী
এখন ভার্চ্যুয়াল সহকারীদের কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। ঘণ্টাপ্রতি আয়ও বেশি। বাড়ি থেকে করপোরেট অফিসের নানা কাজ অনলাইনে করে দেওয়ার সুবিধা আছে এখন। ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মী বা নিজের ব্যবসা নিজেই চালানো যায়। বিভিন্ন দক্ষতার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ থাকে। ২৪ / ৭ ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্কের মতো সাইটগুলোতে কাজ পাওয়া যায়।
অনুবাদ
ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করতে পারেন। যাঁদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জানা আছে এবং এগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে ভালো আয় করতে পারবেন। অনেক সময় কাজদাতারা নিজে সময়ের অভাবে অনুবাদের কাজ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাবেন।

অনলাইন টিউটর
কোনো বিষয়ে যদি আপনার পারদর্শিতা থাকে, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের এখন চাহিদা বাড়ছে। সব বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। এখানে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন ছাত্র। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে ওয়েবিনার পরিচালক হিসেবে অনলাইন সেশন পরিচালনা করতে পারেন। দক্ষতা বাড়লে এ ক্ষেত্র থেকে অনেক আয় করার সুযোগ আছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলো কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য। অনলাইনে গ্রাহক টানা, প্রচার করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো অর্থ আসে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।


ওয়েব ডিজাইন
এখনকার অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায়। সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী নন। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যাঁরা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে। ফলে ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে।

ওয়েব ডিজাইন
এখনকার অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায়। সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী নন। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যাঁরা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে। ফলে ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে।

কনটেন্ট রাইটিং
যাঁরা লেখালেখিতে ভালো এবং একাধিক ভাষায় সাবলীল লিখতে পারেন, তাঁদের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে বা লিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসে। কাজদাতা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্য বলতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে আয়ের ধারা বেড়ে যায়।

ব্লগিং
অনেকে শখ করে অনেক বিষয়ে লেখেন। কিন্তু শখের বিষয়টি যদি পেশাগত কাজে লাগাতে পারেন, তবে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং করেও আয় করার সুযোগ আছে। দুই উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি। ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন। তবে নিজে ব্লগ চালু করতে গেলে কিছু বিনিয়োগ করার দরকার হবে। ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে হবে। নিজের ব্লগ শুরু করাটাই ভালো। কারণ, এতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। তবে ব্লগ লিখে আয় করতে গেলে রাতারাতি আয় আসবে না। এ জন্য প্রচুর সময় ও ধৈর্য থাকতে হবে। অনেকের ব্লগ থেকে আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসহ তা সক্রিয় রাখতে কাজ করে যেতে হয়।

ইউটিউব
যাঁরা ব্লগ লিখে আয় করতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ভিডিও থেকে আয় করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য সৃজনশীল আর ভালো সম্পাদনা জানতে হবে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। আপনার চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং তাতে কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখুন। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। বিষয়টি অনেকটাই ব্লগের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে ভিডিও। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। প্রতি হাজার ভিউয়ের হিসাবে গুগল থেকে অর্থ পাবেন।

পিটিসি
অনেক ওয়েবসাইট আছে, যাতে রাখা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুতে রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।

ডেটা এন্ট্রি
অনলাইনে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাঁদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তাঁরা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাঁদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তাঁরা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।

১০ টি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়:

১.মার্কেটিং করে: বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা অনেকটাই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। তাই নিজেদের কেনা কাটাও অনলাইন থেকে করছি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি হন সেলার তাহলে তো ইনকাম হবেই। অনেকেই শুধুমাত্র পেজ খুলে পন্য বিক্রি করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে। বর্তমানে তো ইনভেস্ট না করে রিসেলিং করেও ভালো এমাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ধ্যর্য থাকতে হবে এবং মার্কেটিং পলিসি বুঝতে হবে। এটি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় ২০২১.

২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই শব্দটা আমাদের কাছে ততটা পরিচিত নয়। তবে পরিচিত না হলেও এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন সম্ভব। এবার আসুন আমরা সংক্ষেপ এ এর সম্পর্কে জানি.বর্তমানে হাজার হাজার মার্কেট প্লেস এ পন্য বিক্রি হয়। এদের ই-কমার্স বলা হয়। আবার এসব ই কমার্স (e-commerce) সাইট এর প্রত্যেকটি সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে আপনার একটি একাউন্ট করতে হবে। এবং তাদের পন্যের লিংক কপি করে শেয়ার করতে হবে।


আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে কেও যদি পন্যটি ক্রয় করে আপনি তাহলে আপনার কমিশনটি পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে পন্যটির দাম বাড়বে না। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) এর জন্য অবশ্যই ভালো মার্কেটিং জানতে হবে। এ ছাড়া সম্ভব নয়। বর্তমানে অনলাইন বা অফলাইনে বিভিন্ন ইন্সটিটিউট এ ধরনের কোর্স করিয়ে থাকেন। সেখান থেকে শিখে নিয়েও আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।

৩.রেফার করে ইনকামঃ অনেক সহজ ভাবে ইনকাম এর একটি মাধ্যম হচ্ছে অ্যাপ রেফার করে ইনকাম।

এই যে বিকাশ এর অফার চালু আছে আপনি রেফার করলে আপনার রেফারে কেও app ইন্সটল করলে ও লগ ইন করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনার একাউন্টে এসে জমা হয় এবং সেটা আপনি চাইলে উইথড্র দিতে পারেন। এই বিকাশ এর মত অনেক app আছে। বাংলাদেশি হলে আপনি টাকা বিকাশেই নিতে পারবেন তবে বিদেশি হলে বিকাশে নেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু আশা করা যাবে না। যেসব সাইট অনেক বেশি টাকার অফার করে রেফার কমিশন হিসেবে,সেসব সাইট বেশির ভাগ সময় ভুয়া হয়। এটি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়.


৪.ছবি তুলে ইনকামঃ বর্তমান যুগে স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। আপনার হাতেই রয়েছে একটি স্মার্টফোন,আর স্মার্টফোনে অবশ্যই রয়েছে ক্যামেরা। কোনো কোনো মোবাইলে তো একাধিক ক্যামেরাও দেখা যায়।আপনার হাতে থাকা সেই ফোনটি ব্যাবহার করেই আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি,,, আপনি আপনার হাতের মোবাইলটি দিয়ে আপনার আশে পাশের কোনো সুন্দর জিনিস এর ছবি তুলতে পারেন।

(মোবাইল এর ক্যামেরা বা যে কোনো ক্যামেরা দিয়েই সম্ভব) তারপর সেই ছবিটাকে সুন্দর করে এডিট করে অথবা এডিট ছাড়াই ওয়েবসাইটে “র” (raw) ফাইলসহ আপলোড করে আপনি ৫০-৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি অল্প স্বল্প এডিটিং জানেন তাহলে তো আরও সহজ হয়ে যাবে কাজটি আপনার জন্য।অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য বিভিন্ন ওয়েব সাইট রয়েছে । তার মধ্যে জনপ্রিয় হলো Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি এবং এরাই ফটোগ্রাফার দের সব থেকে বেশি পে করে থাকে।


৫.ব্লগিং করে ইনকামঃ ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন হলেও অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই পেতে পারেন। এজন্য প্রথমত দরকার মেধা শ্রম ও ধ্যর্য। ব্লগ একটি নিউজপেপার এর মত। আপনার জানা বিষয়টি আপনি লিখবেন। সেই বিষয়টি যার জানা দরকার সে পড়বে। এই যে আপনি এখন অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। প্রতিটা মানুষই কোনো না কোনো বিষয় এ জানাশোনা হয়।আপনিও যে বিষয় এ জানেন সেই বিষয় এর উপর লিখেই শুরু করতে পারেন আপনার ইনকাম।


হ্যা আমি উত্তর দিচ্ছি,,, আপনি কোনো খরচ ছাড়াই একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে মানুষের ভরসা কম পাবেন। তাই কিছু টাকা খরচ করে ডোমেইন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আপনার ব্লগ বানিয়ে আপনি লিখতে পারেন। তবে অনেকের এতটুক ধারণা থাকার পরেও শুরু করছেন না গুগল এডসেন্স দিবে কিনা সেই ভয়ে। তবে ভয়ের কারণ নেই মানসম্মত লিখা হলে অবশ্যই এডসেন্স দিবে।

আরো দেখুনঃ ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম.

৬.ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম: বর্তমানে সবচাইতে বেশি লোক যেখানে কাজ করছে সেটি হচ্ছে ফ্রি ল্যান্সিং। এতে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করাও সম্ভব। সরকার তো ফ্রি ল্যান্সিং এ সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। হয়তো আগামী দিনে এটি হয়ে উঠবে একটি জনপ্রিয় পেশা। ফ্রি ল্যান্সিং এর জন্য আপনার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হবে। যেমনঃ ফাইবার, ফ্রি ল্যান্সার ইত্যাদি।

এতে বিদেশি বায়াররা অনলাইনে কাজের জন্য আপনাকে ভারা করবে। তাদের কাজ করে দিতে পারলেই তারা আপনাকে ভালো একটা এমাউন্ট দিবে। এবং সেটা ব্যাংক একাউন্ট এ নিতে হবে।তবে ফ্রি ল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয় এ পারদর্শী হতে হবে যেমনঃ Graphics Design, Photo Editing, Web Design, Website Making, Copywriting, Content Writing,Logo Design), ইত্যাদি। আপনি যে বিষয় ভালো পারেন সেই বিষয় এই শুরু করতে পারেন ফ্রি ল্যান্সিং।

তবে, শুরুতে মার্কেট প্লেসে কাজ পেতে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে আর সমস্যা হয়না, এ জন্য লেগে থাকতে হয় দির্ঘ সময়।

৬.ভিডিও দেখে অনলাইনে আয়ঃ ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন না জানলেও অনেকে বিশ্বাস করেনা। সত্যি কথা বলতে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছে বিশ্বাস যোগ্য না হলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি। তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যারা ভিডিও দেখিয়ে ইনকাম এর কথা বলে কিন্তু এরা স্ক্যাম বা ভূয়া সাইট। যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখাবে কিন্তু পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে না।

সাধারনত এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের চটকদারী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে আয় করার ফাঁদে ফেলবে।এ থেকে বাচতে সবসময়ই একটা বিষয় মনে রাখবেন, কখনই কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে ভিডিও দেখে খুব বেশি পেমেন্ট করবে না।তাই যখনই দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্ত পেমেন্ট করার কথা বলছে কিংবা কোনো চটকদারী বিজ্ঞাপনের কথা বলবে বা খুব বেশি পেমেন্ট করার কথা বলবে বুঝে নিবেন সাইটটি ভুয়া।

৮.সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়ঃ বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট প্রচুর ব্যাবহার হচ্ছে। তবে এ গুলো শুধু চ্যাটিং এর জন্য নয় বা সময় অপচয় এর জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। এতে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছ থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য স্যোশাল প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য থাকাটা জরুরি।


৯.ইউটিউব থেকে আয়ঃ আপনার মাঝে যদি কোন সুপ্ত প্রতিভা থাকে, এবং আপনি যদি ভিডিওর মাধ্যমে আপনার প্রতিভা ভিডিও এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। তাহলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করাটা হবে আপনার জন্য সহজ একটি মাধ্যম। তবে ইদানিং ইউটিউবের কিছু নিয়ম কানুন পরিবর্তন করেছে। আর সেগুলি হচ্ছে, আপনার সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইব হতে হবে এবং প্রায় চার হাজার ভিউ হতে হবে আরও অনেক কিছু। তবে এটি পূরণ করা খুব বেশি কঠিন, যদি আপনার ভিডিও গুলোতে দর্শকদের কাছে ভালো মনে হয় প্রয়োজনীয় কোন বিষয় থাকে তাহলে সাবস্ক্রাইব এবং ভিউ পেতে আপনাকে খুব বেশি সময় লাগবে না।

কেউ কেউ এটা মনে করেন যে, শুধু মাত্র ফালতু,ফানি ভিডিও গুলোতে দর্শকদের ভিউ বেশি হয়। এই কথাটি কিছু সময়ের জন্য সত্য কিন্তু এসব ভিডিও নিয়ে একজন ইউটিউবার খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। তাই আমার অনুরোধে থাকবে ভিউ অথবা সাবস্ক্রাইব পেতে একটু সময় লাগলেও আপনি ভাল এবং শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরী করুন। আর ভুলেও কারও ভিডিও নিজের বলে চালিয়ে দিবেন না এতে চ্যানেল বাতিল হয়ে যাবে।


১০.অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকামঃ আমাদের মাঝে অনেকেই আছি যারা পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষকতার সাথে জরিত। এতে করে মাসে একটা ইনকাম আমাদের হাতে আসে। কিন্তু যুগের বিকাশে এই পড়াশুনা শুধুমাত্র অফলাইনে সিমাবদ্ধ নয় এই বিস্তার দুনিয়া জুরে।অনলাইনে ছাত্র বা ছাত্রি পড়িয়ে মাসে ৩০-৫০হাজার টাকাও আয় করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে আপনি তাদের সাইট ভিজিট করে ধারণা নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার পাঠদান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ads3

Ads dawun