কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি
অল্প জাইগার মধ্যে বাসা বাড়িতে ও ঘরের পাশে কোয়েল চাষ করা যায়।
কোয়েল পাখি ২ ভাবে চাষ করা যাই
১.লিটার বা ফ্লোর পদ্ধতি
২. খাঁচা পদ্ধতি
লিটার বা ফ্লোর পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে সাধারনত কাঁচা মাটির উপরে বা পাকা ফ্লোরে লিটার অর্থাৎ শুকনো কাঠের গুড়ি (স”মিল এ পাওয়া যায়),ধানের তুষ বা চিটা অথবা বালি ৫-৬ ইঞ্চি পুরু করে বিছিয়ে দিয়ে তার উপরে কোয়েল পালন করা হয়।
খাঁচা পদ্ধতি
খাঁচা পদ্ধতিতে কোয়েল পালনে লোহা,জি আই তার দিয়ে কোয়েলের জন্য বিশেষভাবে খাঁচা তৈরি করা হয় । ... বাঁশের খাঁচা থেকে লোহার খাঁচা বেশি টেকসই ও ভাল মানের হবে। খাঁচায় মেঝে তৈরি করার সময় খাঁচার সামনের দিকে হাল্কা ঢালু করে তৈরি করতে হবে যাতে করে পাখি খাঁচায় ডিম পাড়লে সেই ডিম যেন খাঁচার সামনে চলে আসে ।
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোয়েল পাখির পালন। সাধারন হাঁস ও মুরগির থেকে কোয়েল পাখির ডিমের চাহিদা বাড়ছে।
কোয়েল পাখির বিস্তারিত দিক
(১)ভাল জাতের কোয়েল বছরে ২৮০ থেকে ৩০০টি ডিম দিয়ে থাকে এবং এরা এক টানা ১৪ মাস ডিম পাড়তে পারে । (২) অত্যন্ত কম পুজি নিয়ে কোয়েলের খামার তৈরি করা যায়। (৩) কোয়েলের আকার ক্ষুদ্র বলে এদের লালন পালনের জন্য বিস্তৃত জায়গা প্রয়োজন হয় না। প্রমাণ সাইজের মুরগির জায়গাতেই কমপক্ষে ১২টি কোয়েল পালন করা যায়।
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
এই ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে এই ডিম শরীরের সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেয়। কোয়েলের ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী, আয়রন ও ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী, ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা
সাধারনত বানিজ্যিক কোয়েল নিজেরা ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায় না। কৃত্রিম পদ্ধতিতে ইনকিউবেটর মেশিনের সাহায্যে কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে হয়। ইনকিউবেটর মেশিনের সাহায্যে কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটের বের হতে প্রায় ১৭ দিন সময় লাগে।
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
কোয়েলের জন্য বিশেষ কোন খাবার সরবরাহ করতে হয় না। এদের খাদ্য চাহিদা কম অথচ, শারীরিক বাড় খুব বেশি। এরা খুব দ্রুত বাড়তে পারে। দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম খাবার দিলেই এরা এদের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরন করে নিতে পারে।
কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা
কোয়েলের মাংস মুরগির মাংস থেকে একটু বেশিই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। কোয়েলের মাংসে যথাক্রমে প্রোটিন,চর্বি,কার্বোহাইড্রেট এবং মিনারেলের পরিমান হচ্ছে 20.54%'3.85%”0.56%”1.12%…. অন্যদিকে মুরগির ক্ষেত্রে 20.66%”3.61%”0.78%”1.08%. এ পার্থ্ক্য থেকে বুঝা যায় কোয়লের মাংস মুরগির থেকে ভাল।।।
কোয়েল পাখির চাহিদা
কোয়েলের জন্য বিশেষ কোন খাবার সরবরাহ করতে হয় না। এদের খাদ্য চাহিদা কম অথচ, শারীরিক বাড় খুব বেশি। এরা খুব দ্রুত বাড়তে পারে। দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম খাবার দিলেই এরা এদের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরন করে নিতে পারে।