কিসমিসের উপকারিতা ও প্রয়োজনিয়তা গুনাগুন
কিসমিস বা কিসমিশ হলো শুকনা আঙ্গুর এটিকে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়। কিশমিশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস। কিন্তু শুকনো কিসমিস খাওয়ার বদলে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ... # সুস্থভাবে ওজন বাড়ায় : সব ড্রায়েড ফ্রুট যেমন খেজুর কাজুবাদাম ইত্যাদির মতই, কিসমিস সুস্থ উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
কিসমিশের ব্যাবহার
কিামিশ ব্যাবহারে যেকোন মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিসমিস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার কর হয়। কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজাও বলা হয়।
মিসমিস বা কিসমিশ সাধারনত রান্নার উপকরন হিসবে ব্যাবহার করা হয় আবার এটিকে রান্না উপকরনে ব্যাবহার ছাড়াও খাওয়া যাই।
বিশেষ করে পায়েস, পোলাও, সবজিতে, মুরগীর রোস্টে, কিসমিস ব্যাবহার করা হয়।
এতে করে রান্নার স্বাধও বৃদ্ধি পায়।
সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। ... চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।
কিসমিশের পুষ্টীগুন
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম। দুর্বলতা দূর করতে কিসমিসের জুড়ি মেলা ভার।
কিসমিসে পানির উপকারিতা
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস। কিন্তু শুকনো কিসমিস খাওয়ার বদলে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রোজ কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
তাই রাতে ২কাপ পানি কয়েকট কিসমিস দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখবেন, দেখবেন এর রঙ গাঢ় হবে আর যতো গাঢ় হবে ততোই উপকারি। পরের দিন সকালে পানি টাকে ছেঁকে নিয়ে হালকা আঁচে গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। এবং আধা ঘন্টা পর অন্যান্য খাবার খান। এতে অতি শীঘ্রই বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় কিশমিশ খাওয়া একেবারে নিরাপদ। কালো শুকনো আঙ্গুর ভীষণ মাত্রায় পুষ্টিকর আর গর্ভাবস্থায় সেগুলি খেলে তা একজন গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারি হয়ে উঠতে পারে।
কিসমিস তৈরির নিয়ম
উপকরণ: আঙ্গুর বড় লম্বা আকৃতির ১ কেজি, পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ। ... একটি ঝাঁঝরিতে সুতি কাপড় দিয়ে তার ওপর আঙ্গুরগুলো বিছিয়ে রোদে দিন। টানা ২ থেকে ৩ দিন রোদে দিন। শুকিয়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে স্বাস্থ্যকর কিসমিস।
কিসমিসের দাম
বর্তমান বাজারে এক কেজী কিসমিসের দাম ৩০০-৪০০ টাকা ।