মধুর উপকারিতা

মধু খাওয়ার উপকারিতা 


মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারচিনির এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। মধু পেটের অম্লভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

সকালে খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা 
মধু পেটের অম্লভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। হজমের সমস্যা দূর করার জন্য মধু খেতে চাইলে প্রতিবার ভারি খাবার খাওয়ার আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু কিন্তু খুবই উপকারী। মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে।

কালো জিরার সাথে মধ খাওয়ার উপকারিতা 
কালোজিরা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এটি যে কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই সকালে কালোজিরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

মধু কেন খাবো
হজমের গোলমালেও মধুর উপকারিতা আছে। এটি পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ কমায় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা দূর হয়। মধু বিপাকজনিত তাপ উৎপাদন বাড়ায় বলে শীতকালে দেহের উষ্ণতা বাড়ায়। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে মধু

রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা 
অনিদ্রায়: মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে। যৌন দুর্বলতায়: পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।

ওজন কমানোর জন্য মধুু
ওজন কমাতে – নিয়মিত মধু খেলে পাকস্থলীতে বাড়তি গ্লুকোজ তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ মস্তিষ্কের সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয়। তার ফলে মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণের জন্য বেশি মাত্রায় চাপ সৃষ্টি করে। ফলে মেদ কমে যায়।

 খাঁটী  মধু খাওয়ার নিয়ম
মধু খাওয়ার সবথেকে ভালো সময় সকালে খালি পেটে মধু খাওয়া। নতুন সংগ্রহ করা মধু থেকে ও পুরাতন মধু বেশি কার্যকরী। লেবুর রসের সঙ্গে কাঁচা মধু মিশ্রিত করে খেলে অ্যাসিডিটি কমে। হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিবার ভারি খাবার খাওয়ার আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন।

খাঁটী মধু চেনার উপায় 
কাঁচা খাঁটি মধুতে সাদা ফেনা বা বুদবুদের মতো দেখা দেবে। এটা খাঁটি মধু চেনার চিহ্ন, এর থেকে বোঝা যায় এই মধুতে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়নি। * খাঁটি মধুতে ম্যাচের কাঠি ডুবিয়ে আগুন ধরালে সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে। যদি না জ্বলে তবে বুঝতে হবে সেটা ভেজাল মধু

চাকের মধু চেনার উপায় 

এক গ্লাস পানিতে এক চামচ পরিমাণ মধু দিন। তার পর আস্তে আস্তে গ্লাসটি নাড়া দিন। মধু পানির সঙ্গে মিশে গেলে নিশ্চিত হবেন সেটা ভেজাল মধু। আর মধু যদি ছোট পিণ্ডের মতো গ্লাসের পানিতে ছড়িয়ে যায়, তা হলে বুঝবেন সেটি খাঁটি মধু

সুন্দরবনের মধু চেনার উপায়
আসল মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না। মধুতে কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়। এক টুকরা ব্লটিং পেপার নিন, তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন, যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।

মধু ফ্রীজে রাখলে কী হয়
হ্যা, মধু ফ্রীজে রাখলে মধুর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। মধুকে সংরক্ষণ করতে চাইলে তা ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে বাইরে ঠান্ডা জায়গায় রাখতে পারেন। ... মধু ফ্রিজে রাখলে মধু থেকে চিনির অংশটুকু আলদা হয়ে শক্ত হয়ে যায়। এমনকি এটি মধুর পুষ্টিগুণ অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ads3

Ads dawun