অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও গুনাগুন
অর্জুনের ছাল হাঁপানি, আমাশয়, ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা, ব্যথা, প্রদর ইত্যাদি চিকিৎসায়ও উপকারী। এ ছাড়া অর্জুনে স্যাপোনিন রয়েছে, এটি যৌন উদ্দীপনা বাড়ায়। অর্জুনের ছালের রস যৌন উদ্দীপনা বাড়াতেও ব্যবহার হয়। অর্জুন গাছের তেল খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য
ভূমিকা: অর্জুন (বৈজ্ঞানিক নাম: Terminalia arjuna) কমব্রেটাসি পরিবারের টারমিনালিয়া গণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি বৃক্ষ। এরা দেখতে বৃহত আকৃতির গাছ, ৫০ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়, পাতাগুলির আকারটা একটু বড় হলেও মানুষের জিভের মতো কিন্তু পাতার ধারগুলি খুব সরু, দাঁত করাতের মতো কিন্তু মাংসল নয়।
অর্জুন গাছের ছালের গুনাগুন
অর্জুন ছাল ভালভাবে পেষণ করে চিনি ও গরুর দুধের সঙ্গে প্রত্যহ সকালে খেলে হৃদরোগ এবং বুক ধড়ফড় কমে যায়। ২, রক্তে নিম্ন চাপ থাকরে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়। ৩, রক্তক্ষরণে ৫-৬গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি খেলে আরোগ্য হয়। ... ৭, হার্নিয়াতে অর্জুন ফল কোমরে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার নিয়ম
এক মাস নিয়মিত সেবন করে যাওয়া আবশ্যক। ৯, ২০ গ্রাম পরিমান আধাচূর্ণ অর্জুন ছাল নিয়ে দুই কেজি পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ,পরবর্তীতে জ্বাল করে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেব্য। উল্লিখিত নিয়মে দিনে ২-৩ বার সেবন করে যাওয়া আবশ্যক। ১০, বিচূর্ণ ফল রক্তচাপ কমায়, মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং লিভার সিরোসিস টনিক হিসাবে কাজ করে।
অর্জুন গাছ কোথায় পাওয়া যায়
বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে অর্জুন গাছকম-বেশি দেখা যায়। বিশেষত রাস্তার দুপাশে এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটের বনাঞ্চলে প্রচুর জন্মে থাকে। আর্দ ও নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া অর্জন গাছের জন্য উপযোগী।
অর্জুন পাউডার
অর্জুন ছালের রস কো-এনজাইম কিউ-১০ সমৃদ্ধ। এই কো-এনজাইম কিউ-১০ হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। বাকলের রস ব্লাড প্রেসার এবং কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। ... অ্যাজমা: অর্জুন ছালের পাউডার ১২ গ্রাম দুধের ক্ষীর বা পায়েসের সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যাজমা রোগের স্থায়ী সমাধান হবে।
অর্জুন চূর্ণ
যৌন রোগ: যাদের মধ্যে যৌন অনীহা দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে অর্জুনের ছাল চূর্ণ উপকারী। এই ছাল চূর্ণ দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত খেলে এই রোগ দূর হয়। ... অ্যাজমা: অর্জুন ছালের পাউডার ১২ গ্রাম দুধের ক্ষীর বা পায়েসের সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যাজমা রোগের স্থায়ী সমাধান হবে।
অর্জুন গাছের ফলের গুনাগুন
অর্জুন ছাল ভালভাবে পেষণ করে চিনি ও গরুর দুধের সঙ্গে প্রত্যহ সকালে খেলে হৃদরোগ এবং বুক ধড়ফড় কমে যায়। ২, রক্তে নিম্ন চাপ থাকরে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়। ৩, রক্তক্ষরণে ৫-৬গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি খেলে আরোগ্য হয়। ... ৭, হার্নিয়াতে অর্জুন ফল কোমরে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
এটি ভিতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বকের কোষ মজবুত করে। অর্জুন গাছের ছাল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের উপর লাগালে তা কমে যায়। আবার আপনি যদি এই ছালের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে মেচেতার দাগও কমে যায়। অর্জুন গাছের ছাল ফেস প্যাক হিসেবে অনেকে নিয়মিত ব্যবহার করে থাকে।
অর্জুন গাছের ছাল গুড়া ১০০ গ্রাম
৳ 85.00
অর্জুন ছালের মিহি গুড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও দাগগুলি চলে যায়।
অর্জুনকে হৃদরোগের মহৌষধ বলা হয়।