দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 



দাদ খুব মারাত্মক একটি রোগ, এটি চামড়ার একটি সংক্রমণ। ভাইরাসের আক্রমণে এই সংক্রমণ হয়ে থাকে। সাধারণভাবে দেহের নানা অংশের চামড়া, পা, নখ ও মাথার চামড়ায়, হাঁটু ও পায়ের রানে দাদ লক্ষ্য করা যায়।

দাদ রোগের লক্ষন

লক্ষণ


শরীরের যে অংশে দাদ হয়, সেই অংশটিতে গোলাকার দাগ হয়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে এটি। চামড়া আর্দ্র হয়ে পড়লে দাদের মতো চামড়ার নানা সমস্যায় পড়তে হয়।


চিকিৎসা


১) ভিনেগার বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে দাদ দূর হবে।


২) কাঁচা পেঁপে দেহের উপরের মরা চামড়াকে সরিয়ে দেয়। পেঁপে বেটে তা দাদের জায়গায় লাগান।


৩) দাদ কমাতে লবণজলও দারুণ কাজে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় লবণজল দিনে ৩ বার করে লাগান।


দাদ রোগের  চিকিৎসা

দাদ একটি চর্মরোগ। অতি পরিচিত একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা সংক্রমণ এটি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন- হাত, পা, পিঠ, পায়ের আঙুল, হাতের আঙুল ও মাথার তালুতেও দাদ হয়।

এটি খুবই সংক্রামক এক ব্যাধি। খুব সহজেই দাদ একজনের থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। দাদ হলে ত্বকের উপর গোলাকার দাগের সৃষ্টি হয়। দেখলে মনে হবে ত্বকের উপর আলাদা এক স্তর পড়েছে।

আক্রান্ত স্থানে চুলকানি হয় ও আঁশের মতো উঠতে থাকে। এই সমস্যা সমাধানে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও সারাতে পারেন এই চর্মরোগ। 

জেনে নিন উপায়-গুলো

১. মধুতে থাকা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ছত্রাক-নাশক উপাদান ছত্রাকের বৃদ্ধি ঠেকায়। এজন্য একটি তুলায় মধু লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে দাদ থেকে মুক্তি পাবেন।

২. ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী অ্যালোভেরায় রেজিন থাকে। তা দাদের চুলকানি, যন্ত্রণা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এজন্য অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন।

৩. রসুন ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে পারে। এজন্য ১-২ কোয়া রসুন ভালো করে থেঁতলে নিন। এর সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ মধু ও ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে দাদে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। তারপর গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।


৪. তুলসি পাতায় থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান দাদের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। তুলসি পাতা চুলকানি ও র্যাশ দূর করে।


৫. কাঁচা হলুদের রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাদের সমস্যা দ্রুত সেরে ওঠে। হলুদের শক্তিশালী অ্যান্টি সেপটিক ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান দাদের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।


৬. জায়ফলে থাকে অ্যান্টি সেপটিক ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা দাদ সারায়। এজন্য এর গুঁড়া সামান্য পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট দাদের উপর লাগান। দেখবেন দাদ সেরে যাবে।


৭. নারকেল তেল যদি দাদের জায়গাতে লাগানো হয়, তাহলে তা দাদকে সারিয়ে ফেলতে অনেকটাই সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের অ্যালার্জিকে সারিয়ে তুলতে নারকেল তেল খুবই কার্যকারী।


৮. কর্পূর দ্বারা আক্রান্ত স্থান খুব দ্রম্নত সারিয়ে তোলা সম্ভব। বেশ কয়েকদিন ধরে দাদে কর্পূর লাগানোর পর আর দাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না।


৯. ঘৃতকুমারীর রস দাদের অংশে লাগাতে হবে। কয়েক দিনের মধ্যে দেখা যাবে যে, দাদ একেবারে সেরে উঠেছে।

উপদেশ

আমাদের শরীরে ঘাম এবং ময়েশ্চার বেশি হলে তা আমাদের শরীরের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। তাই ঘাম থেকেও দূরে থাকতে হবে। ঘাম থেকে দূরে থাকতে হলে ঘাম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে ফেলতে হবে।


পরিশেষে, এভাবে আপনি যদি দাদের প্রাথমিক অবস্থায় চেষ্টা চালিয়ে যান তাহলে ঘরোয়া উপায়ে দাদের হাত থেকে অতি সহজে মুক্তি পেতে পারেন। এর পরেও যদি দাদ থেকে মুক্তি না মেলে তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ads3

Ads dawun