অনলাইনে ইনকাম
ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা সকলেই অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে জানি। কিন্তুু এটা কিভাবে করে তা হয়তো৷ আমরা সকলেই পুরোপুরি জানি না। চলুন তাই জেনে নেবো আজকে।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যোগে এক ঝাক তরুন তরুনি আউটসোর্সিং নাকম একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হচ্ছে। কিভাবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করা যাই ও একজন দক্ষ ফ্রি-ল্যানসিং কর্রি হওয়া যাই সে মন নিবেশে কাজ করছে।
এখন আমরা আপনাদের সাথে অনলাইনে আয় করার কয়েকটি নিশ্চিত উপায় শেয়ার করার পাশাপাশি কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম সাইট শেয়ার করব। আশাকরি আপনি ধৈর্য্যধারণ করে ২/৪ মাস কাজ করলে আপনিও মাসে মাসে অনলাইনে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
অনলাইনে কাজ শুরুর দিকে আপনার কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার কাছে সহজে হয়ে উঠবে। আপনি একটি জিনিস মনে রাখবেন, কেউ একদিনে বড় হয়নি, বড় হওয়ার জন্য সময় দিতে হয় এবং ধৈর্য্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করবো
অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে সর্বপ্রথম আপনার যা প্রয়োজন৷ তা হল৷ একটি স্মার্ট ফোন অথবা একটি ডেস্কটপ । আপনি কি ভাপছেন এই দুটি থাকলেই হয়ে যাবে আসলে তা নয়। এবার আপনার ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে যাতে করে আপনি সহজে আপনার কাজের সাফল্যর দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
১. আপনার যদি ভালো লেখালেখির দক্ষ্যতা থাকে৷ তাহলে আপনি একটি ব্লগার সাইট রান করতে৷ পারেন।
বিস্তারিত ঃ- এখন কথা হলো৷ কিভাবে একটি ব্লগার সাইট খুলবো আপনাকে সর্বপ্রথম৷ যা করতে হবে৷ তা হলো গুগলে সার্চ করতে৷ হবে ব্লগার সাইন ইন লিখে।
তারপর আপনার একটি জিমেল একাউন্ট দিতে হবে।
যদি আপনার জিমেইল একাউন্ট না থাকে তবে একটি জিমেইল একাউন্ট খুলতে হবে।
আপনি যদি একটি ব্লগার সাইট বানাতে৷ চান আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন কমেন্ট করে।
২. ইউটিউব থেকে৷ ইনকাম আপনার ছোট বড় সকলেই ইউটিউব নামক অ্যাপটির সাথে৷ পরিচিত , আমরা বাঙ্গালিরা কোন স্যমসার সম্মুখীন হলে ইউটিউবে সার্চ করি।
বিস্তরিতঃ- এখন কথা হলো কিভাবে একটি চ্যানেল খুলবো আর ইনকাম করবো।
একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করতে হলে আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট প্রয়োজন, তার আপনার কাজ হলো ইউনিক ভিডিও আপলোড করা।
অনলাইনে আয় করার উপায়
ইউটিউব মনিটাইজ
আপনি যদি না জেনে৷ থাকেন৷ কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করতে হয় তাহলে জেনেনিন.....
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করার শর্ত হলো ঃ- ১০০০ সার্চক্রাইব লাগবে দিত্বিয় আপনার ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাগবে উক্ত শর্ত গুলো পুরনের মাধ্যমে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ করতে পারবেন।
ফেসবুক পেইজ মনিটাইজ
আমরা সবাই ফেসবুকের সাথে৷ পরিচত যার হাতে৷ একটি মোবাইল ফোন আছে তার একটি ফেসবুক আইডি আছে এটা বলতে হবে না।
কিন্তুু কিভাবে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে ইনকাম করা যাই তা আমারা জানিনা।
আমাদের অবসর সময়ের বেশিভাগ টাইম আমারা ফেসবুকে ব্যায় করি চলুন জেনে নেই কিভাবে ফেসবুক থেকে ঔনকাম করা যায়৷
ফেসবুক পেইজ মনিটাইজের শর্ত ঃ---
ফেসবুক পেইজ মনিটাইজ করতে হলে আপনাকে ১০০০০ ফলোয়ার লাগবে এবং ৩০০০০ ভিওয়ার্স লাগবে।
এখানে আরেকটি কথা হলো, আপনার যেদিন ১০০০০ ফলোয়ার পুরন হবে ঠিক পূর্বের ২ মাস আগে হিসাব অনুযায়ী যদি পেইজের ৩০০০০ ভিওয়ার্স হয়ে যাই তাহলেই আপনি আপনার পেইজের মনিটাইজ পেয়ে যাবেন।
ব্লগিং, ইউটিউব, ফ্রিল্যান্সিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ও ই-কমার্স হচ্ছে অনলাইন ইনকাম এর বেশ জনপ্রিয় এবং অনেক কার্যকরী পদ্ধতি। যদি আপনার লেখালেখি করার আগ্রহ থাকে, তাহলে ব্লগিং করে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। অথবা আপনার দক্ষতার থাকার পাশাপাশি উপস্থাপন করার যোগ্যতা থাকলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা আছে সে বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করেও অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি নিশ্চয় ২০২২ সালে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন। যদি খুঁজে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য হেল্পফুল হবে। কারণ আজকের পোস্টের প্রথম অংশে আলোচনা করা হবে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়? তারপর পোস্টের শেষাংশে অনলাইন ইনকাম এর ৫টি সহজ উপায় শেয়ার করা হবে যেগুলো থেকে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে আমাদের দেশের অসংখ্য লোক অনলাইনে ইনকাম করছেন। সে জন্য নতুনরা অনুপ্রাণিত হয়ে অনলাইন ইনকাম করার চেষ্টা করছে। আবার কেউ কেউ অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট থেকে করে সহজে পেমেন্ট পেতে চাইছেন। আজকে আমরা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। আপনি যদি অনলাইনে বেশি টাকা ইনকাম করতে চান এবং যদি পরিশ্রমী আর ধৈর্য্যশীল মানুষ হন, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন?
বর্তমানে অনলাইনে অনেক বড় বড় শপিং মল রয়েছে। যেমন- এমাজন এফিলিয়েট, আলিবাবা ও ফ্লিপকার্ট। আমাদের দেশের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট হচ্ছে Daraz ও Evaly. এ ধরনের শপিং মল গুলো তাদের প্রোডাক্ট প্রচারের জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রচারনা চালায়।
এ ক্ষেত্রে আপনার ঐ সমস্ত শপিং মলের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে তাদের পন্যের লিংক আপনার ব্লগে শেয়ার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পন্যের লিংক শেয়ার করার পূর্বে কাঙ্খিত প্রোডাক্ট এর ভালো দিকগুলো তুলে ধরে একটি আর্টিকেল লিখতে পারেন। তখন পন্য সম্পর্কে ভিজিটররা পোস্টটি পড়ার সময় আপনার শেয়ার করা লিংকে ক্লিক করে ঐ অনলাইন শপিং মল থেকে পন্য কিনলে সেই পন্যের দাম হতে কিছুটা কমিশন আপনাকে দেওয়া হবে।
মূলত এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলানে ইনকাম করা হয়। উন্নত দেশের পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষও এখন বেশি পরিমানে অনলাইন শপিং করছে। মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়ার কারনে আমাদের দেশের অনলাইন মার্কেটিং বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ বেড়েছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ব্লগের এফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত পোস্ট পড়তে পারেন।
৩। স্পনসর পোস্ট
আপনার ব্লগ যখন জনপ্রিয় হতে থাকবে তখন লোকজন তাদের পন্যের ভালো দিক গুলো তুলে ধরার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। সাধারণত এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিজিটাইল প্রোডাক্ট সম্পর্কে তুলে ধরে একটি বিস্তারিত পোস্ট লিখতে হয়। আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হওয়ার কারনে লোকজন আপনার ব্লগের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে। বিনিময়ে আপনি ঐ কোম্পানির নিকট থেকে ভালোমানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সাধারণত একটি ব্লগ যত বেশি জনপ্রিয় হয় সেই ব্লগের স্পনসরশীপ রেট তত বেশি হয়। আপনি যদি একজন ভালোমানের লেখক হন এবং আপনার ব্লগের প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে একটি স্পনসর পোস্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
৪। অনলাইন কোর্স
কোভিড-১৯ মাহামারির পর থেকে আমাদের দেশের লেখাপড়া অনেকাংশে এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। তা না হলে হয়ত আমরা অনলাইন কোর্স বিষয়টি সহজে বুঝতে পারতাম না। এখন আমাদের দেশের প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া পর্যন্ত অনলাইনে চলছে।
এখানে অনলাইন কোর্স বলতে বিভিন্ন ধরনের কোর্স বুঝানো হচ্ছে। আপনার যে বিষয়ে অভীজ্ঞতা আছে আপনি চাইলে সেই বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের কোর্স চালু করে সেটা PDF আকারে আপনার ব্লগে শেয়ার করে বিক্রি করতে পারেন।
তাছাড়াও আপনার ভালোমানের কোন লেখা ব্লগে শেয়ার করে সেটি লক করে রাখতে পারেন। অর্থাৎ আপনার কোর্সের কিছু অংশ লোকজনকে পড়তে দিবেন এবং অবশিষ্ট অংশ লক করে রাখবেন। এতেকের লোকজন আপনার কোর্স পছন্দ করলে লক করা অংশটুকো টাকার বিনিময়ে ক্রয় করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার যত ভালোমানের কোর্স থাকবে আপনি তত বেশি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার লোক ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেকে সেই সমস্ত সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে Freelancing এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করে স্বাবলম্বি হচ্ছে।
Freelancing হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। আপনি যদি একজন ভাল লেখক হন কিংবা যে কোন বিষয়ে ভাল জ্ঞান রাখেন, তাহলে সে বিষয়ে ভালোমানের আর্টিকেল লিখে Freelancing এর কাজ করতে পারবেন। আপনার লেখার মান যদি ভাল হয় তাহলে Freelancing এ আপনার লেখার মূল্য অর্থাৎ টাকা ইনকামের পরিমান দিন দিন বাড়তে থাকবে। এখান থেকে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে এমন লোকও আছে। এখানে যার যার মেধা অনুসারে তার প্রতিফলন ঘটাতে পারে।
তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন থেকে শুরু আরো বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রচুর পরিমানে ডিমান্ড রয়েছে। এক কথায় আপনার যদি কোন কাজের অভীজ্ঞতা থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপার হবে না।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
অনলাইনে গ্রাফিকস ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর পরিমানে রয়েছে। অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন একটি ভালো উপায়। যারা এই কাজে দক্ষ, তারা বিভিন্ন ডিজাইন বিষিয়ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের নিজেস্ব ডিজাইন দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের ডিজাইনগুলো ক্রেতাদের পছন্দ হলে কিনে নেয়।
তাছাড়াও বর্তমানে ফ্রিল্যান্স মার্কেটে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ডিমান্ড প্রচুর পরিমানে থাকার কারনে এ বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে স্মার্ট এমাউন্ট ইনকাম করা সম্ভব হয়। বিশেষকরে Fiver ও Upwork ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ বেশি পরিমানে পাওয়া যায়। কাজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন জানলে ফ্রিল্যান্সিং করে সহজে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব হবে।
এছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিশেষত্ব হচ্ছে, এ ধরনের একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি যায়। অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কাজটি আপনি প্রাথমিকভাবে এডোবি ফটোশপ থেকে শুরু করতে পারেন।