প্রকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার

গ্যাস কিভাবে সৃষ্ট হয়


প্রাকৃতিক গ্যাস হল প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রোকার্বন গ্যাস মিশ্রণ যা প্রধানত মিথেনের সংমিশ্রণে ব্যবহৃত হয়, তবে সাধারণত অন্যান্য উচ্চমানের অ্যালকেনের পরিমাণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন সালফাইড বা হিলিয়াম এটি গঠিত হয় যখন উদ্ভিদ এবং পশু বিষয়গুলি decomposing স্তর তীব্র তাপ এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠের অধীনে চাপ ...

প্রকৃতিক গ্যাসের মূল উৎস কি
প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল উপাদান মিথেন হলেও এর সাথে অল্প পরিমাণ অন্যান্য প্যারাফিন হাইড্রোকার্বন যেমন ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন, পেন্টেন, হেক্সেন ইত্যাদি থাকে। এছাড়া আরও থাকে নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ও হাইড্রোজেন সালফাইড।

গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষ দেশ 
বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে ও আমদানিতে শীর্ষঃ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিতে শীর্ষ দেশঃ রাশিয়া। বর্তমানে খনিজ তেল উৎপাদনে শীর্ষ দেশঃ রাশিয়া। বর্তমানে বিশ্বে তেল রিজার্ভে শীর্ষ দেশঃ ভেনিজুয়েলা।

গ্যাস কত প্রকার 

প্রাকৃতিক গ্যাস হলো এক ধরনের জৈব জ্বালানি যার প্রধান উপাদান মিথেন (80%)। এছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকে ইথেন (7%), প্রোপেন (6%), বিউটেন ও আইসো বিউটেন (4%), পেন্টেন (3%) কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাওয়া প্রাকৃতিক গ্যাসের 99.99% মিথেন। ... আর্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাসঃ তেলকুপে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসকে আর্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাস বলে।


তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস


লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এল পি জি অথবা এল পি গ্যাস) অর্থাৎ চাপে তরলীকৃত জ্বালানী গ্যাস, এ সমস্ত নামে প্রোপেন বা বিউটেন কে বা এদের মিশ্রণকে ও নির্দেশ করা হয়। এটি মূলত দাহ্য হাইড্রোকার্বন গ্যাসের মিশ্রণ এবং জ্বালানী হিসেবে রন্ধন কার্যে, গাড়িতে ও ভবনের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে (HVAC) ব্যবহৃত হয়।

এটির ব্যবহার প্রপ্যাল্যান্ট গ্যাস  হিসেবে এবং শীতক যন্ত্রের হিমায়ক হিসেবে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন কার্যে সিএফসি গ্যাসের বিকল্প হিসেবে এল পি জি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের ক্ষয় রোধ করা যায়। এছাড়া যখন গাড়িতে এল পি জি ব্যবহার করা হয় তখন "অটো গ্যাস" নামে অভিহিত হয়।

১৯১০ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর ১৯১২ সালে বাণিজ্যিক রূপে উৎপাদন শুরু হয়। এটি জ্বলে শেষ হলে কোন অবশেষ থাকেনা এবং সালফার নির্গত হয়না , এজন্য মোট জ্বালানী শক্তির তিন শতাংশই বর্তমানে এল পি জি । এটি গ্যাসীয় হওয়ায় কোন পানি দূষণ বা ভূমির দূষণ ঘটেনা। এর ক্যালোরিফিক মান ৪৬.১ MJ/kg যেখানে ফার্নেস তৈলের জন্য এ মান ৪২.৫ MJ/kg পেট্রোল/গ্যাসোলিন এর জন্য ৪৩.৫ MJ/kg । কিন্তু এর শক্তি ঘনত্ব প্রতি একক আয়তনে ২৬ MJ/L অন্যদের তুলনায় বেশ কম; কারণ এর আপেক্ষিক ঘনত্ব ফার্নেস তৈল (প্রায় ০.৫–০.৫৮ kg/L) ও পেট্রোল/গ্যাসোলিন (০.৭১–০.৭৭ kg/L) হতে কম।

এ গ্যাসের স্ফ‌ুটনাংক সাধারণ তাপমাত্রার নিচে থাকে তাই দ্রুত চাপ মুক্ত হয়ে বাতাসে মিশে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে যাতে বিস্ফোরণ না হয় সেজন্য ইস্পাত নির্মিত আধারে সর্বোচ্চ চাপ সহনের মাত্রা পূর্ণ করার বদলে ৮০-৮৫% পূর্ণ করা যায়। চাপের ফলে তরল গ্যাস ও আবার বায়বীয় রুপে পরিবর্তন মোটামুটি ২৫০ঃ১ অনুপাত বজায় থাকে। "বাস্পীয় চাপ" নামক একটি মাত্রার চাপে এ গ্যাস তরল হয়ে থাকে, যার জন্য ২০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ বিউটেন এর ক্ষেত্রে ২২০ কিলো প্যাসকাল চাপ প্রয়োজন হয় এবং ৫০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ প্রোপেন এর ক্ষেত্রে ২২০০ কিলো প্যাসকাল চাপ প্রয়োজন হয়। এল পি জি, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো নয়, বরং বাতাসের চেয়ে ভর বেশি হওয়ায় এটি নিচু স্থান ও বেজমেন্টে জমে থাকতে পারে। বিপদ সমুহ হল - বাতাসের সাথে ছড়িয়ে পড়ার পর আগুনের সংস্পর্শে জ্বলে উঠে, অন্যথায় অক্সিজেনের স্থান দখল করে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস রোধ করতে পারে


প্রাকৃতিক গ্যাস


 খনিতে প্রাপ্ত গ্যাস। সাধারণত মিথেন (CH4) গ্যাস হয়ে থাকে(80%)। মাটির ১৫০০-৪০০০ ফুট নিচে অবস্থান করে। কুপ খননের মাধ্যমে উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুতের সবচেয়ে বড় কাঁচামাল। এছাড়াও সি এন জি, এল এন জি, এল পি জি  ইউরিয়া সার প্রভৃতির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ,পাকিস্তান, বার্মা,ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস আছে এতে - ইথেন(7%), প্রোপেন(6%),বিউটেন আইসোবিউটেন(4%) এবং পেন্টেন (3%) থাাকে।


প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুসন্ধান
গ্যাস-তেলের অনুসন্ধান একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালানো হয়ে থাকে। যেমন:- (ক) ভূ-তাত্ত্বিক (geological), (খ) ভূ-পদার্থিক (geophysical) ও (গ) ভূ-রাসায়নিক (geochemical) পদ্ধতি। এর মধ্যে ভূ-পদার্থিক পদ্ধতির একটি প্রচলিত ব্যবস্থা হচ্ছে ভূ-কম্পনের (seismic) সাহায্যে গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান লাভ কাহহরা। যে এলাকাতে ভূ-কম্পন জরিপ করতে হবে, সে এলাকাব্যাপি প্রায় ২০০ মিটার অন্তর আড়াআড়িভাবে অনেকগুলো লাইন টানা হয়। অতপর বিস্ফোরক এবং জিও ফোন (geo phone) সাড়িবদ্ধভাবে রাখা হয়। সাধারণত ২৫ ফুট দূরত্বে প্রতিটি বিস্ফোরক চার্জ এবং ২টি চার্জের মধ্যবর্তী স্থানে ডাটা গ্রাহক হিসেবে একটি জিওফোন রাখা হয়। সাড়িবদ্ধভাবে চার্জগুলোকে মাটির ১৫ ফুট গভীরে ড়ড়০ড়রাখা হয়। রিমোট কন্ট্রোল সুইচ এর মাধ্যমে চার্জগুলিকে বিস্ফোরিত করা হয়। এর ফলে সৃষ্ট কম্পন তরঙ্গ সমূহ (wave propagation) তরং্গাকারে মাটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্তর ভেদ করে পুনরায় গ্রাহক জিওফোন-এ ফেরত আসে। seismic এর গ্রাহক জিও ফোন এর মাধ্যমে সংগ্রহকৃত উপাত্ত লেখচিত্র আকারে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। অতপর রেকর্ডকৃত লেখচিত্রের পরিশোধন, পরিমার্জন এবং বিশ্লেষণ করেই ভূগর্ভে গ্যাস ও তেলের অস্তিত্ব এবং simulation এর মাধ্যমে reserve estimate করা হয়।


গ্যাস সিলিন্ডারের দাম
প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা মূল্য ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা ধরে জানুয়ারিতে সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৪০ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম ১২২৭ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১৪৭৩ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১৫৭১ টাকা, ১৮ কেজির দাম ১৭৬৭ টাকা, ২০ কেজির দাম ১৯৬৩ টাকা, ২২ কেজির দাম ২১৬০ টাকা, ২৫ কেজির দাম ২৪৫৪ টাকা, ৩০ কেজির দাম ২৯৪৫ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৩২৪০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ads3

Ads dawun