গ্যাস কিভাবে সৃষ্ট হয়
গ্যাস কত প্রকার
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো এক ধরনের জৈব জ্বালানি যার প্রধান উপাদান মিথেন (80%)। এছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকে ইথেন (7%), প্রোপেন (6%), বিউটেন ও আইসো বিউটেন (4%), পেন্টেন (3%) কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাওয়া প্রাকৃতিক গ্যাসের 99.99% মিথেন। ... আর্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাসঃ তেলকুপে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসকে আর্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাস বলে।
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস
লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এল পি জি অথবা এল পি গ্যাস) অর্থাৎ চাপে তরলীকৃত জ্বালানী গ্যাস, এ সমস্ত নামে প্রোপেন বা বিউটেন কে বা এদের মিশ্রণকে ও নির্দেশ করা হয়। এটি মূলত দাহ্য হাইড্রোকার্বন গ্যাসের মিশ্রণ এবং জ্বালানী হিসেবে রন্ধন কার্যে, গাড়িতে ও ভবনের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে (HVAC) ব্যবহৃত হয়।
এটির ব্যবহার প্রপ্যাল্যান্ট গ্যাস হিসেবে এবং শীতক যন্ত্রের হিমায়ক হিসেবে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন কার্যে সিএফসি গ্যাসের বিকল্প হিসেবে এল পি জি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের ক্ষয় রোধ করা যায়। এছাড়া যখন গাড়িতে এল পি জি ব্যবহার করা হয় তখন "অটো গ্যাস" নামে অভিহিত হয়।
১৯১০ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর ১৯১২ সালে বাণিজ্যিক রূপে উৎপাদন শুরু হয়। এটি জ্বলে শেষ হলে কোন অবশেষ থাকেনা এবং সালফার নির্গত হয়না , এজন্য মোট জ্বালানী শক্তির তিন শতাংশই বর্তমানে এল পি জি । এটি গ্যাসীয় হওয়ায় কোন পানি দূষণ বা ভূমির দূষণ ঘটেনা। এর ক্যালোরিফিক মান ৪৬.১ MJ/kg যেখানে ফার্নেস তৈলের জন্য এ মান ৪২.৫ MJ/kg পেট্রোল/গ্যাসোলিন এর জন্য ৪৩.৫ MJ/kg । কিন্তু এর শক্তি ঘনত্ব প্রতি একক আয়তনে ২৬ MJ/L অন্যদের তুলনায় বেশ কম; কারণ এর আপেক্ষিক ঘনত্ব ফার্নেস তৈল (প্রায় ০.৫–০.৫৮ kg/L) ও পেট্রোল/গ্যাসোলিন (০.৭১–০.৭৭ kg/L) হতে কম।
এ গ্যাসের স্ফুটনাংক সাধারণ তাপমাত্রার নিচে থাকে তাই দ্রুত চাপ মুক্ত হয়ে বাতাসে মিশে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে যাতে বিস্ফোরণ না হয় সেজন্য ইস্পাত নির্মিত আধারে সর্বোচ্চ চাপ সহনের মাত্রা পূর্ণ করার বদলে ৮০-৮৫% পূর্ণ করা যায়। চাপের ফলে তরল গ্যাস ও আবার বায়বীয় রুপে পরিবর্তন মোটামুটি ২৫০ঃ১ অনুপাত বজায় থাকে। "বাস্পীয় চাপ" নামক একটি মাত্রার চাপে এ গ্যাস তরল হয়ে থাকে, যার জন্য ২০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ বিউটেন এর ক্ষেত্রে ২২০ কিলো প্যাসকাল চাপ প্রয়োজন হয় এবং ৫০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ প্রোপেন এর ক্ষেত্রে ২২০০ কিলো প্যাসকাল চাপ প্রয়োজন হয়। এল পি জি, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো নয়, বরং বাতাসের চেয়ে ভর বেশি হওয়ায় এটি নিচু স্থান ও বেজমেন্টে জমে থাকতে পারে। বিপদ সমুহ হল - বাতাসের সাথে ছড়িয়ে পড়ার পর আগুনের সংস্পর্শে জ্বলে উঠে, অন্যথায় অক্সিজেনের স্থান দখল করে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস রোধ করতে পারে
প্রাকৃতিক গ্যাস
খনিতে প্রাপ্ত গ্যাস। সাধারণত মিথেন (CH4) গ্যাস হয়ে থাকে(80%)। মাটির ১৫০০-৪০০০ ফুট নিচে অবস্থান করে। কুপ খননের মাধ্যমে উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুতের সবচেয়ে বড় কাঁচামাল। এছাড়াও সি এন জি, এল এন জি, এল পি জি ও ইউরিয়া সার প্রভৃতির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ,পাকিস্তান, বার্মা,ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস আছে এতে - ইথেন(7%), প্রোপেন(6%),বিউটেন আইসোবিউটেন(4%) এবং পেন্টেন (3%) থাাকে।