POST BY TAMJID RONI
পরি মনির জন্মদিন....
অনেকেই ভেবেছিলেন, জীবনের ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে, এবার হয়তো জন্মদিনের আয়োজনটা অত জমকালো করবেন না। তাদের ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করলেন পরীমনি। জন্মদিনটাকে এবার যেন আরও বেশি জমকালোভাবে উদ্যাপন করলেন মনের খুশিতে চলা এই নায়িকা। ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে গতকাল রাতে পরিচিতজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও কাছের সব মানুষদের নিয়ে নেচে–গেয়ে জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন তিনি। কেটেছেন কেক।
এ বছর ২৯ শেষ করে ৩০–এ পা রাখলেন পরীমনি। এবারের জন্মদিনের বিমানের কেবিন ক্রু সেজেছিলেন পরীমনি। পাঁচতারকা হোটেলের মিলনায়তনটাকেও করে তুলেছিলেন উড়োজাহাজের অন্দরমহল।
আমন্ত্রিত অতিথিদের আগেই সরবরাহ করা হয়েছিল ‘বোর্ডিং পাস’। অতিথিদের প্রবেশের পর কেবিন ক্রুর সাজে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসেন পরীমনি। শুধু সাজসজ্জাই নয়, বিশেষ কায়দায় বানানো স্কার্টকে লুঙ্গিতে রূপান্তর করে নেচেছেনও তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘এখানে আপনাদের দাওয়াত শুধু আমার জন্মদিনের পার্টির জন্য; নিউজের জন্য নয়। পরীমনির নিউজের আর দরকার নেই। আপনারা এসেছেন এতেই আমি আপ্লুত।
অভিনয়জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে প্রতিটি জন্মদিনে নানা শামসুল হক গাজীকে সঙ্গে নিয়েই কেক কাটেন পরীমনি। ৩০তম জন্মদিনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ২৩ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিটে বাসাতেও নানাকে নিয়েই কেক কাটেন তিনি। রাতের প্রথম প্রহরের এ উৎসবে কয়েকজন কাছের মানুষ ছাড়াও হাজির ছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। হোটেলের জন্মদিনের আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী, রাশিদ পলাশ, অভিনেতা শরিফুল রাজ প্রমুখ।
১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর সাতক্ষীরায় পরীমনির জন্ম। তাঁর আসল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। পরীর বাবার নাম মনিরুল ইসলাম, মা সালমা সুলতানা। মাত্র তিন বছর বয়সে তাঁর মাকে হারান এই চিত্রনায়িকা। এরপর পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে বড় হন তিনি।
‘ভালোবাসা সীমাহীন’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করা পরীমনির ঢালিউডের বয়স সাত বছর হতে চলল। এর মধ্যে ১৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যতটা না আলোচিত, তার চেয়ে চলচ্চিত্রের বাইরের কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশি আলোচিত পরীমনি। কখনো মানুষের সহযোগিতার কারণে, কখনো জাঁকজমকপূর্ণভাবে জন্মদিন পালন করে, আবার কখনো নিজের খেয়ালখুশিমতো চলে। সর্বশেষ মাদক–কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে আলোচনায় আসেন পরীমনি।
write by tamjid roni