টক খাওয়ার উপকারিতা
গরমের দিনে টক খাবারের নাম মনে পড়লে জিভে জল আসে বৈকি! অন্য ঋতুগুলিতে টকের তেমন সমাদর নেই। আয়ুর্বেদ মতে রস ৬টি—মধুর, অম্ল, লবণ, তিক্ত, কটু, কষায়, আর এগুলির সমন্বয়ে শরীরে বায়ু-পিত্ত-কফের বৃদ্ধি-হ্রাস হয়ে শরীরকে সুস্থ ও অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই সব ঋতুতে কম-বেশি ৬টি রসের ব্যবহার শরীরের পক্ষে খুবই উপযোগী।
টক জাতিয় খাবার
টক খাবারঃ টক খাবার বলতে সাধারণত যেসব দ্রব্যের নাম মনের আনাচে-কানাচে ঘুরঘুর করতে থাকে, তার মধ্যে টক দই বাদ দিলে, বাকি রইল কিছু টক ফল, মোটামুটি সেগুলি হল— কাঁচা আম, কাঁচা ও পাকা তেঁতুল, কাঁচা ও পাকা চালতা, যে কোনও প্রকারের লেবু, কামরাঙা, আমড়া, জলপাই, কাঁচা ও পাকা কয়েতবেল, টোপাকুল, নোয়াড় বা শিলাকুল, চেরি প্রভৃতি।
টক খেয় খায়
টক জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। যা দেহের ক্ষয় পূরণে সাহায্য করে। আর প্রত্যেক মাসে পিরিয়ডের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে মেয়েরা টক খেয়ে থাকেন। প্রেগনেন্সির সময় টক মুখের রুচি ফিরিয়ে আনে ফলে মায়ের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে, এবং রক্তের চর্বি কমানোর মাধ্যমে মায়ের ও বাচ্চার রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।
টক খাওয়ার উপকারিতা
আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন 'সি' এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল আঁশসমৃদ্ধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
তেতুল টক খেলে কি হয়
অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক পরিমাণে আছে এ তেঁতুল যেসব রোগের জন্য উপকারী তা হলো স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, শরীর জ্বালা করা প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তেঁতুল রক্তের কোলস্টেরল কমায়। মেদভুঁড়ি কমায়। পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়।
ওজন কমাতে টক
টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে। ফলে ওজন কমাতে (weight loss) সাহায্য করে। এবং টক দই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম যা রক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। আর এ কারণে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
মেয়েদের জন্য টক
টক জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। যা দেহের ক্ষয় পূরণে সাহায্য করে। আর প্রত্যেক মাসে পিরিয়ডের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে মেয়েরা টক খেয়ে থাকেন। প্রেগনেন্সির সময় টক মুখের রুচি ফিরিয়ে আনে ফলে মায়ের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে, এবং রক্তের চর্বি কমানোর মাধ্যমে মায়ের ও বাচ্চার রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।
গর্ভাবস্থায় টক
গর্ভাবস্থায় টক ও আচারের প্রতি মহিলাদের বিশেষ টান থাকে। আচারে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও অম্ল থাকে বলেই টক খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয়। শরীরে সোডিয়াম ও অম্লের চাহিদাও এই সময় বেড়ে যায়। গর্ভবতী মহিলাদের মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতিও একটি বেশি ঝোঁক থাকে।