ভালোবাসার ছন্দ
তোমার ছন্দ কুয়াশা মাখে
শিশির ভেজা ঘাসে
আমার ছন্দ বদ্ধ ঘরে
শীতের পৌষ মাসে
----------তামজীদ রনি -----------
জীবন কাব্য রচনা করা
অসাধ্য কিছু নয়।
জীবন রচিত গল্পটা যে রক্তক্ষয়ী আবেগ ময়
তাই লিখতে ভয় হয়।
---------তামজীদ রনি-----------
কোন সে তুমি চন্দ্র মুখ তোমাতে নিহিত নিবিড় সুখ,,,,,
তোমারি অগোচরে,,, চলে নিত্য চয়ন সাঝের খেলা,,,
তুমি ক্লান্তভর ভাবনায়,,, রবির বিদায় সন্ধ্যা বেলা,,,,
সময়ের ব্যবধানে ক্রমস্য মিশে যাই,,,তোমারি মাঝে,,,, ভালোবাসা এমনই জনিনিস না মানে বাঁধা না শুনে বারন,,, কারনে অকারন প্রকৃত প্রেমিকের হয় ভালোবাসা জীবন মরন।
--------তামজীদ রনি ---------
ভালোবাসা কি? প্রিয় , ভালোবাসা কিসের মেলবন্ধন।
যেই বন্ধন ছিন্ন হলে নাকি রিদয়ে ফাটল ধরে।
হুম তাই, দুই টুকরো রিদয় নিয়ে,, জীবনের অধ্যায় পুরন করা যাই না। একটি জীবনে সুখের সূর্য উদয়ন করে তুলতে হলে প্রয়োজন,,, এমন একজন কে যে কিনা,, তোমার রিদয়ে ভালোবাসা স্থাপিত করে তেমায় পরিশুদ্ধ করে তুলবে।
----------তামজীদ রনি---------
বসন্তের ঝরা বিকেল কবিতা ও ছন্দ
নতুন ভালোবাসার ছন্দ
এই শহরে বক্ষ মাঝে ভালোবাসা স্থাপিত হয় না। স্থাপিত হয় ছলনার রুপ যা বিশুদ্ধ আত্মা কে অপরিশুদ্ধ করে তুলে,আর শেষমেশ জন্ম নেয় বিষদ কাব্য রুপে।
-----------তামজীদ রনি -----------
শৈশব প্রেম
শৈশবে প্রেমের ছোয়া ভালোবাসা কারে কয়
ভালোবাসা ভানবাসা স্রৌতে মিশে রয়, ভাগন বাধন মায়ায় কাঁদন ভালোবাসায় যদি থাকে পরা জয়,,
চাঁদ বদন খানা পেলে কাছেই তবে সার্থক তবে ভালোবাসায় মিলবে জয়।
---------তামজীদ রনি-----------
সেদিনের সেই নুপুরের ছন্দ, আজও মোর কানে বাঁজে, তোমার রূপের সাঁঝে, তুমি মুগ্ধতর করেছ আমায়, আমি বিলিন হয়ে গেলাম তোমাতে, তখনও আমি পরিপূর্ণ প্রেম কী না বুঝি, শুধু বুঝি তোমাকে, একটী প্রহর, একটী নিশিত যাপন নাহি কাঁটে তোমায় ছাড়া
--------তামজীদ রনি---------
তুমি আমার জীবনে একরাশ অতৃপ্ত সুখ,
অগোছালো এক অধ্যায়, যার পরি সমাপ্তি মৃত্যু
------তামজীদ রনি -----
শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়, মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো
-------রাবিন্দ্রনাথ ঠাকুর------
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনি তোমায় দেখতে আমি পাইনি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু নিয়ে উক্তি)। বাহিরপানে চোখ
---------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর--------
আজকাল সবাই যেটাকে ভালবাসা বলে সেটা একটা স্নায়ুর ব্যামো – হঠাৎ চিড়িক মেরে আসে, তারপর ছেড়ে যেতেও তোর সয় না
--------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর--------
অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না। এবার হৃদয়মাঝে লুকিয়ে বোসো, কেউ জানবে না, কেউ বলবে না
------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর--------
ক্ষমাই যদি করতে না পার তবে তাকে ভালবাস কেন
-------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর--------
প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না
-------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর--------
আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায় – একটি হচ্ছে জ্যান, অন্যটি হচ্ছে প্রেম
-------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর--------
রাতের ভালোবাসা ছন্দ
জোনাকি হল রাতের বাতি, স্বপ্ন নাকি ঘুমের সাথে, মন হল মায়াবী পাখি, ফ্রেন্ড নাকি সুখ দুঃখের সাথী, তাই জানাই তোমাকে।
রাত শুধু আঁধার নয়, একটুখানি আলো। রাত শুধু খারাপ, নয় সব খবর ভালো। তাই ঘুমিয়ে পড়ো ভালো থেকো।
রাত মানে গভীর নেশা, স্বপ্ন দেখার আশা। রাত মানে লুকিয়ে থাকা উষ্ণ ভালোবাসা। রাত মানে চোখটি বুজে স্মৃতির মোড়ক খোলা। রাত মানে তোমাকে আমার শুভ রাত্রি বলা।
আজ আকাশে শুধুই লাখ তারার মেলা, আজ রাতে করবো স্বপ্ন নিয়ে খেলা, তুমি সাজিয়ে নিও স্বপ্নগুলো মনের মত করে, আমি ঘুমাতে গেলাম তোমার শুভ রাত্রি বল।
সবার চোখে ঘুম এখন নীরব, আমার চোখে ঘুম নেই কেন বলতে পারো?? কোন সুখের আশায় আমার প্রিয় রাত জাগা কেন আজ দিশেহারা।
নিরব নিস্তব্ধ এই রাতে, আমি জেগে আছি জোনাকি পোকার সাথে, দেখেছি আমি ঐ দূর আকাশের চাঁদ🌙 ,এভাবে কেটে যাক আমার দুঃখ ভরা রাত!
আমার কথা না ভেবে তুমি ঘুমিয়ে পড়বে এটা হতে পারে না ঘুমাতে গেলে আমার কথা তোমার মনে পড়বে তোমার মন কে তুমি বাধা দিতে পারবে না এটাই হলো ভালোবাসার
যদি চাঁদে না থাকে কলঙ্ক, মনে যদি না থাকে ব্যথা। তোমার বাড়ি যদি হতো কাছে , আমি রোজ বলতে আসতাম একটি কথা, তোমাকে অনেক ভালোবাসি
আমি মেঘ তুমি আকাশ, আমি ফুল তুমি সুবাস, আমি কবি তুমি কবিতা, আমি শুর তুমি গান, আমি দিন তুমি রবি,আমি রাত তুমি চাঁদ
ভালোবাসার ছন্দ ২০২২
দু চোখ ভোরে দেখি শুধু তোমার সুন্দর মুখখানা। পাগল হয়ে দেখে আঁখি, পলক আর পরে না।
এসো প্রিয় সাজাবো রানী, দেব খোঁপায় তারার ফুল। কানেতে তোমার পরাব গো প্রিয় স্বর্ণচাঁপা ফুলের দুল।
তোমার ক্লান্ত মনের বেহাতে আমি তোমার প্রেমের রাগিনী। তুমি যে গো মরীচিকা শুধু, তুমি মোর প্রেমের কাহিনী।
ভালোবাসার পাল তুলে চলো মোরা ভেসে যাই। অচীন দেশে বাঁধবো বাঁসা, যে দেশে আর কেউ নাই,,,,,।
আম খাবে, জাম খাবে, তেঁতুল খেও না। আমার কথা মনে রেখো, ভুলে যেও না।
জানি না আজ কেন হায়.. তোমার কাছে এ মন ছুটে যায়। কত মধু রাত বৃথা যায়, তোমার লাগি হতাশার দিন বয়ে যায়।
আমি যে পাগল, প্রিয় তোমার আশায়, এসো প্রাণসখী মোর আঙিনায়। প্রেমের প্রদীপ জ্বেলে করিব আরতি, এসো প্রাণ প্রিয় শুধু একটাই মিনতি।
তুমি আমার রঙিন স্বপ্ন.,,, শিল্পীর রঙে ছবি। তুমি আমার চাঁদের আলো.,,, সকাল বেলার রবি। তুমি আমার নদীর মাঝে একটি মাত্র কূল.,,., তুমি আমার ভালোবাসার শিউলি বকুল ফুল----।
১.
তোমার সাথে হয়না দেখা হয়না কথা রোজ,
ভাবলে তোমায় কঠিন হৃদয় হচ্ছে যে ন্যূব্জ।
মুচড়ে উঠে হৃদয় আমার দেখলে তোমায় কভূ,
মনের ভাষা হয়না প্রকাশ গোপনে রয় শুধু।
২.
প্রখর রোদে ঘামছি আমি ভাবছি ও হে বৃষ্টি,
কষ্টের মাঝেও ভালো থাকি পেলে তোমার দৃষ্টি।
তোমায় ছাড়া শূন্য জীবন মহাকাশের মতো,
নেই যে পাশে তুমি তবু ভাবছি অবিরত।
৩) আমায় তুমি ভালোবাসো আমিও কি কম ?
সমান্তরাল ভালোবাসা চলছে হরদম।ছাড় দেইনা কেউ কাউকেই পান থেকে চুন খসলে,
ভালোবাসায় আগুণ জ্বলে হৃদয় একটু ঘষলেই।
ইচ্ছে করে এই পৃথিবী ছাই করি পুড়ে।
আমার কাছে তুচ্ছ সবই কেবল তুমি ছাড়া,
তোমার জন্য সেনাপ্রধানকেও করতে পারি তাড়া।
৭ বছরের প্রেমের পর করবো যখন বিয়ে,
সেই তুমি আমায় ছেড়ে বাঁধলে ঘর অন্য মানুষ নিয়ে।
১১. “ যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না…. মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা। ”
১২. ” বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। ”
১৩." যার রাগ বেশি সে নীরবে অনেক ভালোবাসতে জানে, যে নীরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি, আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্টও অনেক বেশি। ”
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের ভালোবাসার উক্তি
১৪. ” করুণাও এক ধরনের ভালোবাসা, তবে তা ক্ষতিকারক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা মানুষকে অসুস্থ করে দেয়। ”
১৫. ” গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা। ”
১৬. “ চট করে কারও প্রেমে পড়ে যাওয়া কোনো কাজের কথা না। ”
১৭. ” কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত। ”
১৮. ” মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে। ”
১৯. ” প্রতিটা মেয়ে হয়ত তার স্বামীর কাছে রানী হয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে রাজকন্যা হয়ে থাকে। ”
২০. “একটি ছেলে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝা যায় ছেলেটি মিথ্যা বলছে। কিন্তু একটি মেয়ে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝার উপায় নেই মেয়েটি মিথ্যা বলছে। ”
২১. “ মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ। ”
২২. ” রূপবতী নারীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে নেই । প্রত্যাখ্যান করলে অভিশাপ লাগে। রূপের অভিশাপ । রূপ তখন ধরা দেয় না । রূপের অভিশাপে পরা ভয়াবহ ব্যাপার। ”
২৩.” অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম। ”
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের অনুপ্রেরণা মুলক ছন্দ
২৪.” পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে। “
২৫. ” সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে। “
২৬. ” কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়। “
২৭. ” তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ। “
২৮. ” বেঁচে থাকার মত আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব দৃশ্য চারিদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায়, তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়। “
২৯. ” মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। “
৩০. ” কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। “
৩১. ” মানুষ ট্রেনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়। “
৩২. “ মনে রেখো, আজকের দিনটিই তোমার সেই ভবিষ্যৎ যা নিয়ে তুমি গতকাল চিন্তিত ছিলে। ”
৩৩. ” জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না। কারন,যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে। ”
৩৪. ” তুমি যখন ভাল করতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা করতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমার শত্রু জন্মাবে। ”
হুমায়ূন আহমেদের জীবনদর্শন বিষয়ক কিছু ছন্দ
৩৫. ” অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে। ”
৩৬. “ এ জগতে যুক্তিহীন কিছু ঘটে না। অযুক্তি হল অবিদ্যা। এ পৃথিবীতে অবিদ্যার স্থান নেই। ”
৩৭. “ পিথাগোরাস বলে গেছেন, তিন খুব শক্তিশালী সংখ্যা। তিনে-এ আছে আমি, তুমি এবং সর্বশক্তিমান তিনি। সেজন্যই ত্রিভুবন, ত্রিকাল এবং ত্রিসত্যি। কবুল বলতে হয় তিনবার। তালাক বলতে হয় তিনবার। পৃথিবীতে রঙও মাত্র তিনটা। লাল, নীল এবং হলুদ। বাকি সব রং এই তিনের মিশ্রণ। ”
৩৮. “ বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়। ”
৩৯. “ কল্পনা শক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে । যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ। ”
৪০.” প্রতিটা মানুষের জীবনে কষ্ট আছে শুধুতা প্রকাশ করার পদ্ধতি ভিন্ন। নির্বোধরা প্রকাশ করে চোখের পানি দিয়ে আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাসি দিয়ে। ”
৪১. ” আমাদের মধ্যে সম্মান করা এবং অসম্মান করার দুটি প্রবণতাই প্রবলভাবে আছে। কাউকে পায়ের নীচে চেপে ধরতে আমাদের ভালো লাগে, আবার মাথায় নিয়ে নাচানাচি করতেও ভালো লাগে। ”
৪২.“ সেই বেশী হাসে, যে গোপনে কাঁদে । সেই বেশী নিজেকে হ্যাপি দেখায়, যে নীরবে একা থাকে। সেই বলে সুখের কোন অভাব নেই, যার জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু নাই। ”
৪৩. “ অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দূর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ। ”
৪৪. “ খুব বুদ্ধিমান মানুষদের এটা একটা সমস্যা। নিজেদের তৈরি কথা ছোট ছোট ফাঁদে তারা নিজেরা ধরা পড়ে। ”
৪৫. “ মানুষ হবার অনেক যন্ত্রণার একটি হচ্ছে, যা বলতে প্রাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না। ”
৪৬. “ মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে। ”
৪৭. “ সাধারন হওয়াটা একটা অসাধারন বিষয়, সবাই সাধারন হতে পারে না। ”
৪৮. “ এই পৃথিবীতে চোখের জলের মতো পবিত্রতো আর কিছু নেই । এই পবিত্র জলের স্পর্শে সব গ্লানি- সব মালিন্য কেটে যায়। ”
৪৯. “ আয়না দেখলে আয়নার সামনে দাড়াতে ইচ্ছা করে । খুবই ক্ষুদ্র ইচ্ছা এবং নির্দোষ ইচ্ছা । তবু অতি ক্ষুদ্র ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে নেই। একবার প্রশ্রয় দিলে সব ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে মন চাইবে। ”
৫০.“ একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। ”
৫১.“ একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। ”
৫২.“ তুমি দশটি সত্য এর মাঝে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও, সেই মিথ্যাটিও সত্য হয়ে যাবে কিন্তু তুমি দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্য মিশাও, সত্য সত্যই থেকে যাবে আর মিথ্যা হবে না। সত্য আসলেই সুন্দর। ”
৫৩.“ হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায় । সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই, কি যেন নাই। ”
৫৪.“ মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় অন্যরা তাকে খুঁজে বের করুক। ”
৫৫.“ আবেগ প্রবণ মানুষ খুব বোকা হয়ে থাকে। তারা খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলে। তাই তারা প্রতারিত হয় বেশি, কষ্টও পায় বেশি। ”
৫৬.“ অনেক কিছুই বই পড়ে শেখা যায় না। যে কোনোদিন মিষ্টি খায় নাই, সে কি কোনো বই পড়ে বুঝতে পারবে মিষ্টির স্বাদ কী ! যে কোনোদিন লাল রঙ দেখে নাই, বই পড়ে সে কি বুঝবে লাল রঙ কী ? ”
৫৭. ” বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। “
৫৮. ” মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্রপূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন। “
৫৯. “ শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না । তারপরেও সব মানুষই কোনও – না – কোনও সময় অনুভব করে তার হাত – পায়ে কঠিন শিকল । শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার – বিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে । ভাবে ,মুক্তি পাওয়া গেল । দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে । এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায়। ”
৬০.” পৃথিবীতে নিজে ভালো থাকতে চাইলে স্বার্থপর হয়ে যাও, আর মানুষের কাছে ভালো হয়ে থাকতে চাইলে নিঃস্বার্থ হও। “
ভালোবাসা নিয়ে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের কিছু উক্তি-
** সবাই তোমাকে কষ্ট দেবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।
** যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।
** প্রেমিকাবিহীন তরুণের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা, ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মতো।
** এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সঙ্গে প্রেমে পড়ে।
** পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালোবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।
** ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।
** কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এ ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।
** বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভেতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।
** ভালোলাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে
** ভালোবাসাবাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।
** ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোনো বস্তু হতো, তাহলে সেই ভালোবাসায় সব পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমনকি হিমালয় পর্বতও!
** ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভালো। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালোবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়তো বা ভালোবাসাটা থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালোবাসা এ দুয়ের মধ্যে ভালোবাসাই হয়তো বেশি প্রিয়।
** অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গণ্ডারের মতো। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এ গণ্ডারকে সামলানো যায় না।
১. তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো। আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না।