দ্য সমাজবিজ্ঞান টি নৃতাত্ত্বিক শাখা যা মানবকে অধ্যয়ন করে, ব্যক্তি থেকে শুরু করে তার আন্তঃব্যক্তিক এবং সামাজিক সম্পর্কের রূপগুলিতে। মানুষকে অধ্যয়ন করা, তার সংস্কৃতি এবং অন্যের সাথে মিথস্ক্রিয়া এমন এক সামাজিক বিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন যা nineনবিংশ শতাব্দীর শেষ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকেই বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এই কারণে মনোবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব এবং সমাজবিজ্ঞানের মতো শাখাগুলি উত্থিত হয়েছে, যা অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে অনুগত অভিজ্ঞতা, আদর্শ, ভূগোল, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে মানুষের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক আচরণকে নির্ধারণ করে।
সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে ?
সমাজ ধারণাটি আমাদের বহু বছর আগে থেকে প্রচলিত ছিল কিন্তু এই ধারণা সর্বপ্রথম আমাদের সামনে কে নিয়ে তা নিয়ে অনেকের মধ্যে বেশ আগ্রহ এবং কৌতহল কাজ করে থাকে।
জনপ্রিয় ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী অগাস্ট কোৎ সর্বপ্রথম সমাজ বিজ্ঞানের ধারণাটি আমাদের সামনে নিয়ে আসে।
তাই সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে সেই থেকে অগাস্ট কোঁৎ সর্বস্তরে স্বীকৃত।আজও সমাজ বিজ্ঞান আলোচনায় তার নাম সম্মানের সহিত বলা হয়। আরো জানুন সমাজ বিজ্ঞান কাকে বলে।
গিডিংসের মতে, সামাজিক ঘটনাবলিই শিক্ষার সমাজ বিজ্ঞান।
শিক্ষার সমাজবিজ্ঞান মূলত শিক্ষার ক্ষেত্রে সমাজতাত্ত্বিক ফলাফলের প্রয়োগ নিয়ে কাজ করে এবং এটি বেশিরভাগ গবেষণা কাজের সাথে যুক্ত থাকে। এখানে, শিক্ষাকে একটি প্রক্রিয়া সহ একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখা হয় এবং শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কিছু নির্দিষ্ট কার্য রয়েছে specific শিক্ষাগত সমাজবিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রের মান উন্নত করার জন্য পরামর্শ এবং পদ্ধতি সরবরাহ করে এবং এগুলি সাধারণত নির্দিষ্ট সমাজের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং মানদণ্ডের উপর গভীর গবেষণা বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।
শিক্ষার সমাজবিজ্ঞানের মূল কাজ হচ্ছে,সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষাক্রম,পাঠ্যসূচি,বিষয়বস্তু,শিখন অভিজ্ঞতা,পাঠ্যসূচি,শিখন-শেখানো পদ্ধতি,কৌশল ও দক্ষতা,শিখন সামগ্রী,শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ইত্যাদির অনুশীলন,অনুসন্ধান,পর্যালোচনা ও গবেষণা করা।
সমাজবিজ্ঞানের মূল অালোচ্য বিষয়ই হলো সমাজ ও মানুষ তথা সামাজিক ঘটনা ও কার্যাবলি।
সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ
সমাজবিজ্ঞান বা সমাজবিদ্যা বা সমাজতত্ত্ব মানুষের সমাজ বা দলের বৈজ্ঞানিক আলোচনা শাস্ত্র। এতে সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনের সামাজিক দিক এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়। সমাজ বিষয়ক গবেষণা অতীত কাল থেকেই প্রচলিত ছিল। তবে অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম ১৮৩৮ সালে এর রীতিবদ্ধ আলোচনা করেন।
এছাড়া হার্বার্ট স্পেনসার সমাজবিজ্ঞানের মূলনীতিগুলি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের মূল স্থপতি হিসেবে ফরাসি পণ্ডিত এমিল ডুর্খেইম এবং জার্মান সমাজবিজ্ঞানী মাক্স ওয়েভারের নাম উল্লেখযোগ্য। তবে ইবনে খালদুন কে সমাজবিজ্ঞান এর আদি বা প্রাচীন জনক মনে করা হয়।
সামাজিক বিজ্ঞান হচ্ছে জ্ঞানের এমন একটি শাখা যা সমাজ ও মানবিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।
সমাজ দিন দিন সরল অবস্থা থেকে জটিল অবস্থায় রূপান্তর হচ্ছে, তাই এর পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমাজে সংঘটিত সব কিছুই সমাজবিজ্ঞানের পরিধিভুক্ত, ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, অপরাধ অর্থাৎ সমাজে সংঘটিত সব ঘটনা কোনো না কোনো সমাজকাঠামোতে পড়বে। মানুষের সব আচরণকে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে সমাজবিজ্ঞানের মর্যাদা দেওয়া সম্ভব। আর বিজ্ঞানের অবদানের কারণে এর ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার কারণে সমাজবিজ্ঞানের পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমাজবিজ্ঞান শব্দের উদ্ভব:
ফরাসি সমাজ বিজ্ঞানী অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম sociology শব্দটি আবিষ্কার করেন। Sociology শব্দটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ সমাজ ও গ্রিক শব্দ যার অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞান বা বিশেষ জ্ঞান এই শব্দ থেকে উদ্ভূত। তাহলে শব্দগত অর্থে যদি বলতে চায় তাহলে বলা যায় যে সমাজ সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান যে বিজ্ঞানের মূল বিবেচ্য বিষয় তাকেই বলা হয় সমাজবিজ্ঞান। Sociloloi বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে সমাজবিজ্ঞানকে গ্রহণ করা হয়েছে বাংলা ভাষার সমাজ সম্পর্কিত বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনার সূত্রপাত করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিনয় কুমার সরকার।
সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা:
সমাজ বিজ্ঞানের প্রধান মানুষের দল গত আচরণ ও পারস্পরিক কার্যকলাপ সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে লেখা হয় মানুষের সংঘ বদ্ধ জীবন যাত্রার উদ্দেশ্যও গতিপ্রকৃতি সমন্বয়ে এ ক্ষেত্রে আলোচিত বিষয় হয়।।
কিভাবে মানুষের সমাজে নানা ধরনের সংঘের বিকাশ ঘটেছে এবং কিভাবে এসবের ভেতর পরিবর্তন এসেছে তাও সমাজবিজ্ঞান আলোচিত।
অবশেষে আমরা বুঝতে পারছি যে সামাজিক সংগঠন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা এবং এসবের ব্যাখ্যা করায় সমাজবিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য।
সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি:
কোনো বিষয় বা বস্তুর প্রকৃতি বলতে ঐ বিষয় বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পরিচয় কি বুঝায় অতএব সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি বলতে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের বৈশিষ্ট্য বা পরিচয় কি বুঝায় সামাজিক বিজ্ঞানের প্রকৃতি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা ও বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি তথা এর উদ্দেশ্য হল সমাজের বসবাসকারী মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা বিশ্লেষণ করা।
সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সমাজবিজ্ঞানের পরিধি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সামাজিক কর্মকান্ড সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সময় মানুষের ভালো মন্দ বিচার করে থাকে।